টিপু সুলতান।। ভোলায় জমি জমা নিয়েপূর্ব শত্রুতার কারণে আপন বড় চাচাকে হত্যা করেছে ছোট ভাইয়ের ছেলে সোহাগ। একইভাবে ১২ বছর আগে সোহাগ ভোলা সরকারি কলেজের এক ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন রতনপুর গ্রামের নজির মেম্বার বাড়িতে আপন ছোট ভাই এর ছেলে সোহাগ তারই আপন বড় চাচা আবদুল মালেক পিটিয়ে হত্যা করেছে। এসময় দু’পক্ষের মারামারিতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।
আজ সকালে ১১টা দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানা হেফাজতে নেন।
প্রতিবেশীদের ধারণা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এ সংঘর্ষ হয়।ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ তাজল ইসলাম ও তার বড় ছেলে সোহাগ এর নেতৃত্ব ৫/৬জন এর একটি দল এ হামলা করেন । এতে ঘটনা স্থলে নিহত হন তারই বড় চাচা আব্দুল মালেক আহত হন মফিজুল ইসলাম মজু নামের আরও একজন।
পরর্বতীতে, মফিজুল ইসলাম মজু এর ছেলে মোবারক,সেকান্তর, সাকিল, ও ইয়াকুব এর নেতৃত্ব ১০/১২ জন এর দল বজলুর রহমান তার ছেলে আরিফ ও হাসনা কে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত আরিফসহ তিনজন ই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোহাগ ১২ বছর আগে ভোলা কলেজের ছাত্র বাবলুকে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। যার মামলা এখনো ভোলার সেশন জজ আদালতে চলমান রয়েছে ওই মামলায় জামিনেও রয়েছেন সোহাগ এমনটাই নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা ও তার আত্মীয়-স্বজন।
তবে নিহতের ছেলে ও মেয়ের দাবী তার বাবা ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মটর সাইকেল মার্কার প্রার্থীকে সমর্থন করায় আনারস প্রতিকের সমর্থকরা তাকে হত্যা করেছে। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন নির্বাচনী বিজয়ের পর মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক তার বড় চাচা সহ একটি গ্রুপ তাদের উপর হামলা করলে দুই পক্ষের মারামারি হয় এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল মালেক এবং এ সময় উভয় পক্ষের আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন ভোলা নিউজকে কে বলেন, এদের ভাইদে মাঝে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তবে আজকের ঘটনাটা সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত রিপোর্টের পরে জানতে পারা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ৪-৫ জনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন ওই পুলিশ অফিসার।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান