অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
বিএনপি বুঝে না বুঝে সরকারের সমালোচনা করে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দলটির প্রতিক্রিয়া একই রকম বলে মনে করেন তিনি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশের পরদিন শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাট পরিদর্শনে আসেন সড়কমন্ত্রী। এ সময় তিনি কথা বলেন বাজেট নিয়ে।
বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার দুই দিন আগেই বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বাটেজকে ‘গণবিরোধী’ বলেছিলেন। আর বাজেট পেশের দিন সকালে অর্থমন্ত্রী সংসদে যাওয়ার আগেই বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান বলেন এই বাজেট ‘লুটপাটের’, ‘ভুয়া’।
আর বাজেট পেশের পর বিএনপির তিন নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, শামসুজ্জামান দুদু এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মন্তব্যও ছিল একই রকম।
পরদিন শুক্রবার দলের পক্ষ থেকে বাজেট প্রত্যাখ্যান করে রিজভী বলেন, ‘রক্তচোষার বাজেট দ্রব্যমূল্য বাড়াবে।’
বিএনপির সব নেতাই বড় বাজেটকে ভোটের আগে লুটের সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
এর জবাবে কাদের বলেন, ‘এমন বড় বাজেট গতবারও ছিল। এ বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের একটা চ্যালেঞ্জ। বুঝে বা না বুঝে বিএনপি সবসময়ই বিরোধী কথা বলে থাকে।’
‘বড় বাজেট’ বাস্তবায়নের মতো সাহস সরকারের আছে বলেও জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘বড় বাজেট যেহেতু আমরা করেছি, বড় চ্যালেঞ্জও অতিক্রম করবার সাহস আমরা রাখি, সৎ সাহস রাখি।’
গত অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের চেয়ে এবারের আকার বেড়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
কাদের বলেন, ‘নিরাপত্তার যে নেটওয়ার্ক সেটাই কিন্তু কয়েক লাখ গরিব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার আরো যে বিষয় মাথায় রেখেছে, তা হলো গরিব মানুষের স্বার্থটা।’
এই বাজেটকে ভোটার তুষ্টির বাজেট বলেছেন সমালোচকদের কেউ কেউ। এর জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে এটা নির্বাচনের বাজেট নয় এটা জনগণের বাজেট। একটা জনবান্ধব বাজেট হিসেবে প্রস্তাবনা করা হয়েছে। আলোচনা সমালোচনার পর বাজেটে কোনটা থাকবে, কোনটা থাকবে না সেটা দেখা যাবে।’
‘ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নয়’
ঈদ যাত্রায় দেশের প্রধান মহাসড়কটির যানজট পরিস্থিতি নিয়ে আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
কাদের বলেন, সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা ও গোমতি নদীতে ১২ জুন থেকে ফেরি চালু হতে যাচ্ছে। এ কারণে দ্রুত গতিতে রাস্তা ও নদীর ঘাট মেরামত করার কাজ চলছে।
‘বরিশাল থেকে আনা হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর পন্টুন। ইতোমধ্যে গোমতি নদী খনন করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।’
এরআগে মন্ত্রী মেঘনা ফেরিঘাটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৮জুন-২০১৮ইং)