নিউজ ডেস্কঃ
ভোলা নিউজ-০৪.০৬.১৮
ফজলুল কাদের মজনু যাকে ভোলার সাধারন মানুষ মজনু মোল্লাহ নামেই চিনেন। ভোলার মোল্লাহ পরিবারের এই মানুষটি সুধু ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিই নন। তিনি একজন লেখক ও ঘবেষক। রাজনিতি ও সমাজের বঞ্চিত মানুষদের অধিকার আদায়ে যিনি সকল আন্দোলন সংগ্রামের মাঠে বিরামহীন ভাবে সোচ্চার ছিলেন। উন্নয়ন বঞ্চিত আজন্ম ভেসেচলা ভোলার মানুষের উন্নয়নের ফেরি করে বেড়িয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। ঘুম নিদ্রা আহারে যার একটি চিন্তাই মাথায় দোলা দিতো তা হলো প্রকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ভোলার মানুষকে স্থায়ী ভাবে কিভাবে রক্ষা করে একটি টেকসই অর্থনীতিক জোন করা যায় সম্ভাবনাময়ি এই জেলাটিকে । এই কারনেই ভোলার এই রাজনৈতিক ব্যাক্তিটি খুবই কাছের মানুষ ছিলেন ভোলার অভিবাবক তোফায়েল আহমেদের। দীর্ঘ বিরতিতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে এই মানুষটিকে নিয়েই ভোলা রক্ষার কাজে হাত দেন সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী। পাইলিং বেসিসে ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলিতে ব্লক স্থাপন করে সংকিত ভোলা বাসিকে আস্বস্ত করেছিলেন মেঘনার গ্রাস থেকে রক্ষা করার। ফের ক্ষমতা হারালে বিপর্যয়ে পরে ভোলা গাজিপুর কালুপুর, ইলিশা, রাজাপুর, শিবপুর, ধনিয়া ও কাচিয়াসহ নদী গর্ভে বিলীন হতে থাকে একের পর এক মুল ভুখন্ড। নানা নাটকীয়তায় ফের আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে নেদারল্যান্ড এর ওরীয় গ্রুপের সাথে ভোলা রক্ষার একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির পেছনে যে মানুষটি প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করেছেন তিনিই হলেন মজনু মোল্লাহ। ওরীয় গ্রুপের জরিপের কাজ শেয়ে ২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে কিছু পরিমান বরাদ্দকৃত অর্থও বাংলাদেশ সরকারকে ছাড় করেন। বাট অজানা কারনে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে ফের ভোলা রক্ষার হাল ধরেন বাংলার জিবন্ত কিম্বদন্তী তোফায়েল আহমেদ। একনেকে একের পর এক অর্থ ছাড় করিয়ে ভোলাকে নদী ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা করেন। ভোলার এ অভিবাবকের সাথে মজনু মোল্লার সামান্য ভুল বুঝাবুঝিতে অভিমান সৃষ্টি হয় । আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই তা দ্রুত নিরশন হবে এই মান আভিমানের। আজ মজনু মোল্লার ৬৬ তম জন্ম দিনে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ভোলার তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষ। আজ ভোলার তৃণমূলের অসহায় মানুষের এ প্রানের নেতার ৬৬ তম জন্মদিনে ভোলা নিউজ পরিবারের পক্ষথেকে পবিত্র দীর্ঘ হায়াত সহ শুভ কামনা রইলো।