ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযানে কুয়াকাটায় চোৱাই ব্যাগ ও টাকাসহ গ্রেফতার-৩।।

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গতকাল বেলা ১.৩০ ঘটিকায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ফিশ ফ্রাই মার্কেটের দক্ষিণ পার্শ্ব হতে চোরাই মালসহ সঙ্ঘবদ্ধ পেশাদার চোরচক্রের তিনজন চোরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে গত ০২/০৭/২০২৩ তারিখ গলাচিপা থেকে মোঃ এনামুল হক (১৮), পিতা-মোঃ বাবুল হাওলাদার, সাং-পাতা বুনিয়া,
থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালীসহ তাদের কয়েকজন বন্ধু বান্ধবরা মিলে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসে। দুপুর ১৩:৩০ ঘটিকার সময় ০১টি ট্রাভেল ব্যাগ মোঃ এনামুল হকের নিকট রেখে বাকি বন্ধুরা মিলে সমুদ্র সৈকতে গোসলে যায়। এনামুল ব্যাগটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর ফিস ফ্রাই দোকানের দক্ষিণ পার্শ্বে কিটকট ছাতা বেঞ্চের পাশে রেখে বসে মোবাইলে
চালাতে থাকে। আসামীরা ব্যাগটিকে চুরির টার্গেট করে আশেপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামী মো: ইসমাইল হোসেন পূর্ব পরিকল্পিনা অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের
সহযোগিতায় এনামুলের পাশে থাকা ব্যাগটি নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি ছাতা বেঞ্চে ব্যাগ নিয়ে বসে থাকা এনামুল টের পেয়ে চোর চোর বলিয়া ডাক চিৎকার দেয় এবং ১ নং আসামী মো: ইসমাইল হোসেনকে ধরার চেষ্টা করে। তার ডাক চিৎকার শুনে সাদা
পোষাকে ডিউটিরত ট্যুরিস্ট পুলিশেের সিভিল টিমের সদস্যরা এগিয়ে আসে এবং ১ নং আসামীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় অন্যান্য আসামীরা ধৃত আসামীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।তখন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ডিউটিরত ট্যুরিস্ট পুলিশ এর টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করে। চোরচক্রের
অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ট্যুরিস্ট পুলিশ এর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাগ চুরির কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে ট্যুরিস্ট পুলিশ চুরি করা কালো রংয়ের ছোট ট্রাভেল ব্যাগ এবং ব্যাগের ভিতরে থাকা নগদ ১০৬০/ ঢাকা ১নং আসামী মোঃ ইসমাইল হোসেন এর হেফাজত হতে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে এবং পালিয়ে যাওয়া আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত ঘটনায় মোঃ এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করিলে মহিপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ
০৩/০৭/২০২৩। ধারা-৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন তদন্ত করিতেছে। উল্লেখ্য যে,
১ নং আসামী ইসমাইল হোসেন (৪১) এর বিরুদ্ধে যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় ০১ (এক)টি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা, সিলেট
জেলার বিশ্বনাথ থানায় ০১ (এক)টি চুরির মামলা, ডিএমপি, ঢাকার শাহবাগ থানায় ০১ (এক) চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ২ নং আসামি মোঃ নুরুল ইসলাম মাঝি (৫৯), এর বিরুদ্ধে বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানায় একটি মাদক মামলায় বিজ্ঞ আদালত সাজা প্রদান করেছেন।গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের চৌর্যবৃত্তির কাজ করে থাকেন। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত, বড় বড় পুকুর,বড় বড়নদিঘিতে গোসল করতে নামা লোকজনদের টার্গেট করে বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ঘড়ি, মানিব্যাগ, পার্স ইত্যাদি চুরি করে থাকেন।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ১। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪১), পিতা-মৃতঃ জয়নাল আবেদীন, মাতা-মৃতঃ আলেয়া, সাং-চুমুরদি, থানা- ভাংগা,
জেলা-ফরিদপুর,
২। মোঃ নূরুল ইসলাম মাঝি (৫৯), পিতা-মৃতঃ বুদাই মোড়ল, মাতা-মৃতঃ চন্দ্ৰ ভানু, সাং-ঘনশ্যামপুর,
গোয়ালবাড়ী মাঠ, আলনগীর মেম্বারের বাড়ীর পার্শ্বে, থানা-সিরাজদি খাঁন, জেলা-মুন্সীগঞ্জ
৩ নং আসমী মোঃ রাকিব (৩৮), পিতা-মৃতঃ আঃ রশিদ চৌকিদার, মাতা-মৃতঃ কমলজান, সাং-মিয়া চর চৌকিদার বাড়ী, থানা-
গৌরনদী, জেলা-বরিশাল সঙ্ঘবদ্ধ চোরচক্রের একজন সদস্য। আসামিদের কাছ থেকে একটি ট্রাভেল ব্যাগ ১০৬০/- (এক হাজার ষাট) টাকা এবং পর্যটকদের ব্যবহৃত লুঙ্গী, গামছা অন্যান্য পরিধেয় সামগ্রী উদ্ধার করেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE