নিউজ ডেস্কঃ
ভোলা নিউজ- ৩০.০৫.১৮
অন্ধ আবেগে ভোলার চকবাজারের আগুন নিয়ে শুরু হয়েছে আগুন খেলা। দায়িত্বরত সকলের সেচ্ছাচারিতায় সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোন প্রকার প্লান ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি জমি দখল করে রাতের আধারেও ইমারত নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঘর মালিকরা। এতে করে ফের আগুন লাগার ঝুকিতো থাকছেই। সাথে সাথে মালিকানা নিয়ে যে কোন সময় সংঘর্ষসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আদালতের নিষেধ ও তোয়াক্কা করছেন না এ সব দখলদাররা। পৌরসভার কাছে বিচার দিয়েও কোন প্রকার ফল না পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত ২৮ এপ্রিল গভরি রাতে ভোলা সদর উপজেলার চক বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।একমাস অতিবাহিত হলেও অগ্নিকান্ডের কারণ ও প্রকৃত আর্থিক ক্ষতি কত তা এখনও নিরুপন করেনি সরকারি বে-সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান।
এই অগ্নিকান্ডে ভোলার প্রতিটি মানুষই ক্ষতিগ্রস্তদের সহানুভুতি জানিয়েছে। অনেকেই সাধ্যমত সহযোগীতা করেছেন। ভোলা পৌরসভা বিনামুল্যে প্ল্যান পাস করার ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু দখলবাজ ভুমিদস্যুরা সরকার তথা মানুষের সহানুভুতির সুযোগ নিয়ে এখন আগুন খেলা খেলছে। এখানে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই জমির মালিক নন ভাড়াটিয়া। কিন্তু তাঁরা কোন কিছুর পরোয়া না করে নিজেদের ইচেছমত দোকানপাট তৈরি করছেন। মানছেননা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। নিচ্ছেন না যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। পিএস- ৩২৭ খতিয়ানের ১২৮/৩৫/৩২ দাগের উত্তোরাধিকার সূত্রে মালিক পক্ষের এসএম বাহাউদ্দিন জানান, উল্লেখিত খতিয়ান ও দাগে তাদের সারে ৬ শতক জমি রয়েছে কিন্তু তাদের এক সময়ের ভাড়াটিয়ারা সেখানে জোর জবরদস্তি দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এসব বন্ধ করার জন্য তারা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন।
নগর পরিকল্পনাবিদদের অভিমত যেহেতু পুরে গিয়ে জমিটি এখন উন্মুক্ত তাই এখানে যা কিছুই র্নিমাণ করা হোক সেটি হতে হবে পরিকল্পিত। এটিকে বস্তি বা ঘিঞ্জি বাজার বানিয়ে ফেললে দেখতে যেমন অসুন্দর হবে তেমনি ভবিষ্যতে অগ্নিকান্ডের মত বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। দখলবাজরা সাধারনত বিধিনিষেধ মানতে চাননা। জমির মালিকরাই করুক আর যেই করুক সহানুভুতি থাকবে তবে আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে কাউকেই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করতে দেয়া ঠিক হবে না। এতে করে এ অবৈধ ভাবে নির্মিত এ ঝুকি পূর্ন ইমারত ভেঙ্গে ভোলার চক বাজারসহ ঘোষপট্রির ব্যাবসায়ীরা ফের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেই মনে করছেন ভোলার সচেতন মহল।