মনপুরা প্রতিনিধি- চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ হামিদিয়া ফাজিলিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওঃ ফিরোজের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা করা হয়েছে। চরফ্যাশন থানা মামলা নং – জি আর ৭/২৩।ভুক্তভোগী জানান, আসামী মাও. ফিরোজ বিবি ফাতেমার পূর্বের স্বামীর সহিত বুনিবনা না হওয়ায় তাহাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, উক্ত বিষয়ে আসামী অবগত ছিল এবং লেখাপড়া জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু একাকিত্বের সুযোগে আসামি শিক্ষক মাও. ফিরোজ ভুক্তভোগী কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং জানায় আসামির পূর্বের স্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত এবং উহা আর আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা নাহে।বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত আসামি ফিরোজ কথাবার্তা এবং বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন ভাবে উত্তপ্ত করে, এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, ফলে আসামি বিগত ৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে ভুক্তভোগী বিবাহর কথা বলে আসামী মাও. ফিরোজ তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভুক্তভোগী বিবি ফাতিমাকে গোপনে বিবাহ করেন কিন্তু তাহার কোন কাবিন নামা করেন নাই এমনকি চার মাস তাহাদের ভিতর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো। ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সরল মনে তাহা বিশ্বাস করিয়া স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন, দাম্পত্য শর্ত আদায় করেন।ভুক্তভোগী ৭/১০/২০২২ ইং থেকে ১৫ দিন আসামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় তাহা আসামির একাধিকবার দৈহিক মিলন হয়। বিষয়টি আসামীর পূর্বের স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে জানাজানি হইলে বিগত ০৬/০৩/২০২৩ ইং তারিখে ভুক্তভোগী আসামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় কাবিনের জন্য চাপাচাপি করিলে আসামি উত্তেজিত হয়ে বলে কিসের কাবিন, কিসের বিয়ে, এসব শুধু নাটক মাত্র, আমাদের কোন বিবাহ হয় নাই।৬/৩/২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ভুক্তভোগী আসামির স্ত্রীর মর্যাদা চাহিলে উভয়ে তর্কাতর্কি হয় এবং এক পর্যায়ে আসামি ভুক্তভোগীকে তাহার ঘর থেকে জোরপূর্বক বাহির করে দেয়। আসামীর এলাকার সকলেই জানে ভুক্তভোগী আসামির স্ত্রী। লোক লজ্জার ভয়ে ভুক্তভুগীর বাবা বাড়িতে আসিয়া ব্যাপারটি সকল সাক্ষী গনকে জানাই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আরো অভিযোগ করে বলেন মামলা দায়ের এরপরেও এখন পর্যন্ত থানা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আসামি মাওলানা ফিরোজ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এমনকি মাদ্রাসা ও নিয়মিত ক্লাস করছেন, আমি জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।বিষয়টি নিয়ে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইয়াসিন দেখবে। মামলাটি এখনো তদন্ত দিন রয়েছে। আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে এস.আই ইয়াসিনকে জানান, আসামি ধরার জন্য চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে, আসামিকে খুঁজে পাচ্ছি না। মাদ্রাসায় কখন ক্লাস করে, তা আমার জানা নেই।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান