ইয়ামিন হোসেন।
দীর্ঘ ১৩ দিন ভোলা সদর হাসপাতাল, পঙ্গু ও ঢাকা মেডিকেলে লড়াই করে অবশেষে ১১ই মার্চ বিকালে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন ভোলা সদর উপজেলার জংশন বাজারের পল্লী চিকিৎসক মিরাজ হোসেন (২৮)। মৃত্যু মিরাজ বাপ্তা ৪নং ওয়ার্ডের মৃত শাহাবুুউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিন মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তানসহ স্ত্রী, মা ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছে মিরাজ।
গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ভোলার ইলিশা সড়কের কালাম মেম্বার পোল সংলগ্ম ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ডান পায়ের মাংস বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে দুইটি অপারেশন করা হয়। দ্বিতীয় অপারেশনের পর মিরাজকে আইসিওতে রাখা হয়। আইসিওতেই মিরাজের মৃত হয়। দূর্ঘটনার শুরু থেকে ১৩দিনে ১৬ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় মিরাজকে এবং তৃতীয় অপারেশন এর জন্য ৪ ব্যাগ রক্ত রিজার্ভে রাখা হয় বলে জানান মিরাজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহেল।মিরাজের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে মিরাজের গ্রামের বাড়ীতে আনা হবে বলে জানিয়েছে সোহেল। এদিকে মিরাজের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জংশন বাজারসহ স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে।এদিকে দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার এক সপ্তাহ আগ থেকে মিরাজের নিজের ফেসবুক আইডিতে পরকাল ও কিয়ামত নিয়ে আবেগআপ্লুত বিভিন্ন পোষ্ট দিয়েছে যা এখন তার পরিচিতরা যার যার টাইমলাইনে শেয়ার করে মিরাজের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান