ভোলায় স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের চিঠি নিয়ে তোলপাড়।।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলায় স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের বিচার চেয়ে চিঠি। তজুমুদ্দিনে স্কুল শিক্ষক এর হাত থেকে ইজ্জত বাচাতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সেই চিঠি নিয়ে তোলপাড় চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনা নিয়ে স্কুল প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহনের খবর পাওয়া জায়নি।তজুমুদ্দিন সরকারি ফজিলাতুননেসা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত করে গনিত শিক্ষক তুষার হাওলাদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তজুমুদ্দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিক সাদী’র কাছে ওই প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজেি তা মিমাংশা করার আশ্বাস প্রদান করেন। কোন প্রকার বিচার না করে উল্টো ছাত্রীদের হুমকি ধামকি দেয়ায় প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগের চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেই সাথে জেলা জুড়ে শিক্ষদের ইমেজ সংকট দেখা দেয়। এ নিয় ভোলা নিউজ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোলার শিক্ষকদের নৈতিক অধপতন হয়েছে।ভোলার সর্বোচ্চ আইকনিক বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী ভোলা সরকারী কলেজ। অতীতে এই কলেজের ইস্রফিল স্যার, মুসলিম স্যার, রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, পারভীন ম্যাডাম, মহসিন গোলদার, জিএম জামাল উদ্দিন,এনায়েত স্যার, রাখাল স্যারদের মতো শিক্ষকদের নাম শুনলে শয়তানও নাকি ৭ দিন ক্যাম্পাসে ঢুকাতো দূরের কথা কলেজের আসে-পাশে দিয়েও হাটতো না। আর এখনকার সময়ের শিক্ষকরা নবীণ বরণের নামে কলেজ ক্যাম্পাসে মেয়েদের উদ্যম নাচের আয়োজন করেন। বসন্ত বরণের নামেও বেহায়া পনায় মেতে উঠেন শিক্ষক নামের ওই পশুরা। এমন কি পিঠা উৎসবের নামেও মেয়েদের ব্যাকারণ ছাড়া কথিত শরির প্রদর্শনীর বেহায়া পনায় মেতে উঠেন আজকের দিনের কথিত কিছু শিক্ষকরা। ভোলা কলেজের সম্প্রতি সময়ের শিক্ষকদের এধরনের বেহায়াপনা দেখে শয়তানরাও লজ্জা পাচচ্ছেন। ভোলার আইকনিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যদি এমন নৈতিক অধঃপতন হয় তাহলে তজুমুদ্দিনের মত প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষকদের কাছ থেকে এটা আশা করাই স্বাভাবিক মনে হবে। ভোলার অভিবাবকরা এই সব শিক্ষক নামের কুলাংগার শিক্ষকদের কাছে ছাত্রীদের পাশের নিশ্চয়তায় জিম্মি থাকায় এ ধরনে ঘটনা ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও সম্প্রতি সময়ে নিজেদের প্রগতিশীল সাজানোর জন্য দাড়ি টুপি পরা হুজুররাও এই আদিম হিংম্রতায় মেতে উঠছে। এই চিঠি সুধু তজুমুদ্দিনের মেয়েটির ই নয়। এটা এখন দেশের নিরবে নির্যাতিত প্রতিটি অসহায় ছাত্রীর মনের আকুতি। এ ধরনের ব্যাধি থেকে বাচতে অভিবাবক ও শিক্ষকদের সমন্বিত সমোপযোগী কার্যকরি প্রচেষ্টা চালাতে হবে বলেও তার খোলামেলা আলোচনায় জানান এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম। তবে এ ব্যাপারে এখনো স্কুল কর্তীপক্ষ কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে ছাত্রীদের হুমকি দামকিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই এডভোকেট।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE