মনজু ইসলামঃলালমোহন উপজেলার ৭ নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাময়িক বরখাস্তের প্রত্যাহার আদেশ কেন অবৈধ নয় এই মর্মে রুল নিশি জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ।একই সঙ্গে হাইকোর্টর রায় উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ এর সাময়িক বরখাস্তের প্রত্যাহার এর আদেশ ০১ (এক) বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।একই সঙ্গে লালমোহন উপজেলার ৭ নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ খি. তারিখে নির্বাচন কমিশনকে আদালতে Affidavit-in-complaince আকারে প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টর রায় উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ এর সাময়িক বরখাস্তের প্রত্যাহার আদেশ প্রদানে সংশ্লিষ্ট ০৪(জন) সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে সম্পুর্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। রিটকারীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ০১ ডিসেম্বর, ২০২২ হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মাননীয় বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট পিটিশনার এর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, তাকে সহযোগিতা করেন এ্যাডভোকেট মোঃ মনির হোসেন, এ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া, ও এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ্। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দূর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট নওশের আলী মোল্লা। দীর্ঘদিন ওই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন না হওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেখানে কচুয়ার চর ইউপির এক ভোটারকে চর উমেদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রিট করা হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। কিন্তু সেটির কোনো চূড়ান্ত রায় না হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনের মেয়াদ শেষ হতে থাকে আর কেটে যায় বছরের পর। সেখানে তফসিল দেওয়ার পর নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে ১০ থেকে ১২টি রিট করেন চেয়ারম্যান অনুসারীরা । ইতোপূর্বে ২৫ নভেম্ব, ২০২০ সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাময়িক বরখাস্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে রায় দেন।
আবু ইউসুফ ২০০৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ভোটে জয়ী হওয়ার পর কোনো নির্বাচন ছাড়াই দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে তিনি ২০১৯ সালে ২২ সেপ্টেম্বর অনুমতি ছাড়া ভারতের কলকাতা গিয়ে দেশে ফেরেন ওই বছরের ৬ অক্টোবর (ইমিগ্রেশন বিশেষ পুলিশের শাখার তথ্যানুযায়ী)। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি বিধান) বাৎসরিক সভা ও মাসিক সভা করার কথা থাকলেও তা নিয়মিত না করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি ওই চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করেছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব। হাইকোর্টর রায় উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ এর সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে। যা আজ স্থগিত করে দেয় আদালত। দীর্ঘদিন ওই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন না হওয়ার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেখানে কচুয়ার চর ইউপির এক ভোটারকে চর উমেদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রিট করা হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। কিন্তু সেটির কোনো চূড়ান্ত রায় না হওয়ায় নির্বাচন আয়োজনের মেয়াদ শেষ হতে থাকে আর কেটে যায় বছরের পর। সেখানে তফসিল দেওয়ার পর নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে ১০ থেকে ১২টি রিট করেন ভোটাররা। সংশ্লিষ্ট এই কোর্টেই চার থেকে পাঁচটি রিট করা হয়। ওই সব রিট পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) থাকার কারণে স্থানীয় সরকার থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করেনি।’
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান