বিশেষ প্রতিনিধিঃউন্নয়নের জোয়ারে ভাসা চরফ্যাশনে স্কুল থেকে ফেরার পথে সাঁকো পারাপারের সময় খরস্রোতা খালে পড়ে শিশু শিক্ষার্থী নিশাদ (৬)-এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে নিশাদের সহপাঠী ইয়াছিন (৬)। নিহত নিশাদ ওমরাবাজ গ্রামের আবু জাহেরের ছেলে এবং নিখোঁজ ইয়াছিন একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। তারা দুইজনই পশ্চিম ওমরাবাজ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। ৩রা আগস্ট দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের মরকখালী খালের উপর সাঁকো থেকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মৃতবস্থায় শিশু নিশাদকে উদ্ধার করলেও অপর শিশু নিখোঁজ ইয়াছিনকে খুঁজে পেতে উদ্ধার তৎপরতার কাজ করছে চরফ্যাশন ফায়ার স্টেশনের ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও গ্রামবাসী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমান জানান, দুই শিক্ষার্থী প্রথম শিফট ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী জানান, শিক্ষার্থীদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত সাঁকোর একপ্রান্তে জুতা পাওয়া যায়। জুতার সূত্রধরে খালের মধ্যে শিশুদের অনুসন্ধান শুরু হয়। খবর দেয়া হয় চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে। তবে মহা পরিকল্পনার দেশের সবচাইতে উন্নয়ন বাজেটের ইউনিয়নে সাকোটি পরিকল্পিতভাবে তৈরি না করায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে কোনো খোঁজখবর নেয়নি সাঁকোটির। তারা জানান, গ্রাম উন্নয়নের অবকাঠামো বাজেট প্রতিবছরই দেয়া হয়। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়াই লাগেনি এই এলাকায়। বাজেট শুধুই কাগজ-কলমে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজের সম্ভাব্য স্থল মরকখালী খালে অনুসন্ধান শুরু করেন এবং সাঁকোর ৩০ গজের মধ্য থেকে নিশাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো ইয়াছিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল। ঘটনাস্থলে শশীভূষণ থানা পুলিশের একটি টিম অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ শিশুদের পরিবারের শোকের মাতম ও আহাজারি দেখে ভোলার সুশীল সমাজ চরফ্যাশনের কথিত কাগজ কলমের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কথা উঠেছে জ্যাকব টাওয়াসহ নামকা ওয়াস্তে উন্নয়নের নামে লুট পাটের উন্নয়ন নিয়ে।