সাজ্জাদ বিন লাল- জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ ।।
বানিয়াচংয়ের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম মজলিশপুর। তিনটি টি জামে মসজিদ, আটটি টি আপমশিপড়ার মক্তব, দুইটি মাদরাসা, একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি ব্র্যাক স্কুল, মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং কয়েক ডজন সিঁড়ি ঘাট সহ ও চারপাড় পিচ রাস্তা, শাহ কুড়ালের মাজার এবং জামে মসজিদের সামনে দর্শনীয় গায়েবী পিলার সহ নানা রকম মনোরম পরিবেশে মজলিশপুরের গ্রাম।এত সব মনোমুগ্ধকর পরিবেশ থাকার পরও পুর্ব বন্দের বাড়িতে চলোচলের কোন রাস্তা নেই। জনপ্রতিনিধি গন ভোটে নির্বাচিত হবার আগে যত রকমের ওয়াদা করেন ভোটে জয়ী হবার পর ফলাফল শূন্য। এভাবেই প্রায় দেড় যুগ পেরিয়ে সারা বছর কাঁদা মাখা অবস্থায় চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ৫০ টি পরিবারের লোক জনকে।২০০৪ সালে বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান পাস করার পর মজলিশপুর মহল্লার সংরক্ষিত আসনে ৩টি ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন সহ তাঁদের প্রচেষ্টা তে মজলিশপুর পুর্ব বন্দের বাড়ি হতে জামালপুর পর্যন্ত রাস্তার ব্যবস্থা করে দেন।২০০৪ থেকে ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত আর কোন কাজ হয়নি।২০০৪ পেরিয়ে বর্তমানে ২০২২ সাল।গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান খান এবং মেম্বার প্রার্থী ওয়াদা করেছিলেন যদি তাঁররা জয়ী হন তাহলে সর্বপ্রথম এই অবহেলিত ৫০ টি পরিবারের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করে দিবেন। অবশেষে তাঁরা পাস করলেন এবং চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান এবং মেম্বার মনসুর মিয়া তাঁদের দেওয়া অঙ্গীকার পূরণে সর্বপ্রথম মজলিশপুর পূর্ব বন্দের বাড়ির রাস্তার কাজ শুরু করেন।কাজ শুরু হয়েছিল জুন মাসের ১ম দিকে, বন্যার কারনে কাজ স্থগিত ছিল বেশ কয়েকদিন। বন্যা কমে যাবার পর আবার গত ২৫ জুলাই পুনরায় কাজ শুরু করা হলে ২৮ জুলাই কাজ সমাপ্ত করা হয়। ভোলা নিউজ পত্রিকার প্রতিনিধিকে নব-নির্বাচিত মেম্বার ‘মনসুর মিয়া’ বলেন, আমাকে জনগন তাদের পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, এখন আমার কাজ হলো তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকা। আর এলাকার উন্নয়নে সার্বিক চেষ্টা করাই হলো আমার মানব ধর্ম।মজলিশপুর পুর্ব বন্দের বাড়ির অনেকেই বলেন, প্রায় ১৮ বছর পর আগে বর্তমান চেয়ারম্যান (২০০৪) সালে এই রাস্তাটি করে দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে পুনরায় সংস্কার করে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বারের জন্য আমাদের চলাচলের একটা ব্যবস্থা হয়েছে, তাই আমরা তাঁদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানায়, এখন বিনা কষ্টে স্কুলে যেতে পারবো। আগে সামান্য বৃষ্টি হলে সারা রাস্তা ডুবে যেত এবং অনেক জায়গা কাঁদা লেগে থাকতো।এছাড়াও একজন পথচারী জানান, আধুনিক সময় সব দিকে উন্নয়ন হলে ও উন্নয়ন হয়নি মজলিশপুর পূর্ব বন্দের বাড়ির রাস্তা। এই রাস্তার এমনই নাজেহাল অবস্থা ছিল যা বলার বাহিরে। তবে এখন চলাচলের জন্য একটা সুন্দর ব্যবস্থা হয়েছে।আর এভাবেই যেন বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও মেম্বার ‘মনসুর মিয়া’ অবহেলিত রাস্তা ঘাট উন্নয়ন তথা ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড কে আধুনিক ইউনিয়ন ও আধুনিক ওয়ার্ডে রুপান্তরিত করবেন সেই বিশ্বাস রাখছি।