বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের মুন্সি বাড়ির নূর ইসলাম এর ছেলে রাসেলের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিষাক্ত সাপে কামড়ানো গরু জবাই করা সেই গোশত নিজ ইচ্ছায় মাটিতে পুতল বিয়ের আয়োজকরা। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পর রবিবার দুপুরে ওই বাড়িতে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের একটি টিম যায়। পরে বিষাক্ত সাপে কামরানো ভাইরাস জনিত গরুর গোশত খেলে বিভিন্ন রোগসহ মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে বলে বিয়ের আয়োজকদের লোকজনকে অবহিত করেন। রবিবার রাতে নিজ ইচ্ছায় ভাইরাস জনিত জবাইকরা গরুর গোশত গুলো সচেতনতার লক্ষ্যে মাটিতে পুতে ফেলেন বিয়ের আয়োজকরা। এতে স্থানীয়রা ওই বিয়ের আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।উল্লেখ্যঃ জবাই করা গরুটি মাটিতে পুতার আগে শনিবার সংবাদটি ছিল, একই এলাকার বুলুর ছেলে মনিরের গরুটি বিষাক্ত সাপে আঘাত (কামড়) দেয়।পরে পশু (গরু) টি অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানিয় পশু চিকিৎসক পলাশ গরুটিকে প্রার্থমিক চিকিৎসা দেয়। পরে পশুটি অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে পশু চিকিৎসক পার্থকে আনেন । দুজন চিকিৎসক গরুটিকে বিষাক্ত সাপে কামড়ানোর কথা বলেন। গরুটির অবস্থা আরো আশঙ্কা জনক হলে শনিবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে রাসেলের বিয়ের আয়োজকদের কাছে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। শনিবার রাত ১০ টায় গরুটিকে জবাই করা হয়। আগামী সোমবার ওই বাড়িতে বর পক্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য বিষাক্ত সাপে কামড়ানো পশুটি দিয়ে আয়োজনের প্রস্ততি চলছে বলে স্থানিয়রা জানান। স্থানিয়রা আরো জানায়, বিষাক্ত সাপে কামড়ানো পশুটি খাসমহল বাজার এলাকায় আজহার মিয়া পোল সংলগ্ন ফরাজি বাড়ির কনে পক্ষকে অতিথি আপ্যায়ন করার জন্য রাখা হয়েছে।অন্যদিকে বর পক্ষের রহমান আলী জানান, আমরা গরুটি কিনেছি জবাই করে নিজেরা খাবো।তবে স্থানিয় পশু চিকিৎসক পলাশ জানান, মনিরের গরুটি বিষাক্ত সাপে আঘাত (কামড়) দিয়েছে। প্রথমে আমি চিকিৎসা করি। পরে পশু চিকিৎসক পার্থ স্যার চিকিৎসা দেয়। ঔষধে কাজ না করায় গরুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পশুটির খারাপ লক্ষন দেখে পশুটি আর ভালো হবে না বলে আমরা গরুর মালিক মনিরকে জানাই।৷ এই সংবাদের পরে রবিবার রাতে নিজ উদ্দ্যেগে জবাই করা গরুটি মাটিতে পুতল ওই বিয়ের আয়োজকরাই। এতে এলাকায় প্রশংসিত হয় উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের টিমসহ ওই বিয়ের আয়োজকরা।