মনিরুল ইসলামঃ পাবলিক প্রসিকিউটর। সাধারন মানুষ তাকে পিপি নামেই ডাকেন। সংক্ষেপে জেলার সরকারী এডভোকেট। ভোলায় আজ দীর্ঘ সময় ধরে পিপি’র দায়িত্বে থাকায় সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু স্যারের নামই পিপি নামে রুপান্তর হয়ে গেছে। পিপি বললেই এখন ভোলার মানুষ তাকে চিনে। ভোলার কোর্টে পিপি নামটি দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্কিত হিসাবে পরিচিত হয়ে আসলেও সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু, হুমায়ুন স্যার ও কিরণ তালুকদারের মত পিপিদের দ্বারা কিছুটা হলেও সেই বিতর্ক গুচেছে। সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু ভোলার বনেদী পরিবারের সন্তান। জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে ভোলার মানুষকে আইনী সহয়তা দিয়ে আসছেন। পিপিরা বিতর্কিত হওয়ার জন্য তারা যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ি আইন পেশার সাথে জড়িতরা বিশেষ করে এডভোকেট তাদের সহকারি মহড়ার ও তাদের সহকারী আতিমাত্রার সেবকরা। তারা প্রত্যেকেই পিপি’র কথা বলে মোয়াক্কেলদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু তার সবটাই কি পৌঁছায় পিপিদের কাছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেক অনেক পিপি মুখ না খুললেও বর্তমান পিপি সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু খোলামেলা কথা বলেছেন ভোলা নিউজের সাথে। প্রচার বিমুখ ও সংক্ষেপে কথা বলা মানবতাবাদি পিপি কোন প্রকার রাগঢক না রেখেই অকপটে বলে দিলেন সালাউদ্দিন হাওলাদারসহ দুই তিনজনের কাছ থেকে পিপি হিসেবে প্রাপ্য সম্মানটা পাই। এ ছাড়া কেহই টাকাতো দুরের কথা প্রাপ্য সম্মানটাও দেয় না। একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সকাল বেলা চরফ্যাশনের এক মোয়াক্কেল আমার সামনে এসে আমাকেই বলছে ‘পিপির পেট কত মোটা? ওরে যত লাগে দিমু তার পরেও যেন আমার মামলাটা শেষ করে দেয়।” পিপি অবাক হয়ে সবকথা শুনে অসহায় মানুষটিকে নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন এবং অসহায় মানুষটিকে সাথে নিয়ে সকালের নাস্তা সেরে পিপি অফিসে আসার পরেও চরফ্যাশনের অজো পাড়াগাঁ থেকে আসা সহজসরল মানুষটি তখনো বুঝতে পারেননি উনিই ভোলার পিপি। যথারিতি মামলাটা কোর্টে উঠার পর জাজ সাহেবকে সব কথা খুলে বলার পরে ৫ বছরের বেশি সময় পর চরের অসহায় লোকটি মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেয়েছে। যদিও ওদিনও সময়ের দরখাস্ত দিয়েছে, ওই মানুষটির নিয়োগকৃত আইনজীবী। এ রকম গল্প একটি দুইটি নয় পিপিদের বিতর্কিত করার এরকম হাজারো গল্প রয়েছে। আমরা পিপিদের নেতিবাচক মুখরোচক এমন অনেক গল্প শুনে থাকি। কিন্তু ইতিবাচক কয়টা গল্প আমরা শুনি বা চর্চা করি? বাপ্তার আলোচিত ডাবল মার্ডারের ৩ জনের ফাঁসি। দৌলতখানের স্ত্রী সন্তানকে হত্যার পরে আগুন লাগিয়ে আলমত নষ্ট করার মামলা ফাসির আদেশ। ইচ্ছা করলেই এই মামলাগুলো থেকে যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেন পিপি। কিন্তু তা না করে দিনের পর দিন আদলতের এজলাসে পাওয়া না পাওয়ার দিকে না তাকিয়ে নিরোলস কাজ করে গেছেন মানবতার কল্যানে। তার পরেও বদনামের শেষ নাই আমাদের পিপিদের। নিরবেনি বৃত্তে করা ভালো কাজ গুলো আমরা না প্রচার করলেও তাদের প্রকাশ্যে করা ভালো কিছু কাজ প্রচার করা এখন সময়ের দাবি।