ভোলার লালমোহনে যুবলীগ নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৫।।

 

নিউজ ডেস্ক।। ভোলার লালমোহনে পৃথক পৃথক ঘটনায় যুবলীগ নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে লালমোহন উত্তর বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা পৌর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম টিটনের উপর উপর রড , লোহার পাইপ ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে এসে তার সহকর্মী সহ ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হলেও গুরুতর অবস্থায় জাহিদুল কে লালমোহন হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহিদুল বলেন, সকালের দিকে লালমোহন বাজারে বের হলে হঠাৎ করে পিছন দিক থেকে এসে স্থানীয় সন্ত্রাসী অলি আড়ৎদারের ছেলে মামুন , মালেক মিয়ার ছেলে বশার , নুরুজ্জামানের ছেলে আমিনুল ও মজিবুল হক মাষ্টারের ছেলে জিয়াউল হক আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এরপর রড, হকিস্টিক ও বিশেষ কায়দায় তৈরি পাইপ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এমতাবস্থায় আমার সহকর্মীরা ছুটে আসতে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার সাথে আমার সহকর্মীরাও আহত হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা চলে গেলে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন হাসপাতল, সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।একই দিনের বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই সন্ত্রাসীরাই গ্রুপ লালমোহন উত্তর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পৌর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সোলেমান হাওলাদারের পুত্র মিজান হাওলাদারের উপর একই ভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকেও গুরুতর আহত করে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত বরিশাল অথবা ভোলায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন । বর্তমানে মিজান হাওলাদার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে ঘটনাটিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনের আওয়ামীলীগের নমিনেশন নিয়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ঘটনাটি আমাদের নখদর্পণে আসলেও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থানায় কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

SHARE