টিপু সুলতান ।। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জামাল কসাই এখন পশু ডাক্তার। সেই হাতুড়ি ডাক্তারের চিকিৎসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের গৃহপালিত পশু ।উপজেলা কাচিয়া ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডে মোল্লা বাড়ির চান্দু মোল্লার ছেলে জামাল (৩৭) দীর্ঘ কয়েক বছর কসাই কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন,, ইদানিং দেখা যায় গ্রামগঞ্জে বিজ্ঞ পশু ডাক্তার হিসেবে নিজেকে সুপরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কাচিয়ায় অনেকে গরু চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেকের গরুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,,একই এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য লোক দের মাধ্যমে সমাঝোতা করে অনেক জরিমানা দিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়,, ৯নং ওয়ার্ডের আপ্তার আলী বেপারী বাড়ী অসহায় শাহানুরের একটি গরু জামালের ভুল চিকিৎসার কারণে ৬০ হাজার টাকার গরু ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে হয়।বর্তমানে আবার ৯ নং ওয়ার্ডের আপ্তর আলী বেপারী বাড়ীর ফখরুল ইসলামের একটি গরু সেই হাতুড়ি ডাক্তারের ভুল ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে তার গুরুর অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এসময় জামাল কসাই হাতুড়ে ডাক্তার,, বলেন ফখরুল ইসলাম এর গরু যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন আমাকে জানালে আমি সেই বাড়িতে যাই, এবং গরুর পরিস্থিতি দেখে আমি গরুটিকে একটি ইনজেকশন দেই সেই সময় গরুটি হচট খেয়ে পরে গরুটির পিছনের ডান পাশের রানের মধ্যের একটি রগ ছিঁড়ে যায়, তার পর আমি গরু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মোঃ হাতেম ডাক্তারকে খবর দিলে সে এই বাড়িতে আসলে গরুটি দেখে এই তথ্য দেয়।স্থানীয় সাধারণ জনতার দাবি, বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উপজেলা পশু কর্মকর্তা থানার পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনাকরছেন স্থানীয়রা।এই হাতুড়ি ডাক্তার জামাল কসাই কিসের বলে কসাই থেকে পশু ডাক্তার পরিচয় দেন। তা খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় সাধারণ জনতা।এখনো সময় থাকতে তার লাগাম টেনে না ধরলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ লোকের গৃহপালিত পশু ।