সাজ্জাদ বিন লাল।।ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভাটিপড়া এলাকায়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন মঙ্গলবার ভাটিপড়া গ্রামের মৃত হরমন দাসের পুত্র গৌড়ী লাল দাস (৪৫) ভোর ৬টার দিকে একা একা নৌকা যোগে বাড়ির পাশের হাওরে যান বেরজাল দিয়ে মাছ ধরতে।ভানের পানিতে জাল প্রস্তুত করতে একটি বাঁশ পানির নিচে ধাবিত করার সময় হাওরের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎতের তারের সঙ্গে লেগে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে নৌকা থেকে পড়ে যান।ভানের পানিতে তলিয়ে গিয়ে হারিয়ে যান।আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় গ্রামবাসী নৌকাটিতে কোন লোকজন দেখতে না পেয়ে খুঁজাখুঁজি শুরে করেন।এক পর্যায়ে বিষয়টি বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীকে অবগত করেন এলাকাবাসী। তাৎক্ষণিক তিনি বানিয়াচং থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করেন। হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।এদিক থেকে বানিয়াচং থানা পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ডুবুরিরা হাওরের মধ্যে বিভিন্ন দিকে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন।প্রায় দুই, তিন ঘন্টা পড়ে ভাটিপাড়া এলাকার এক ব্রীজের কাছ থেকে ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়।পড়ে সেখান লাশটি থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন।ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করার জন্য তাৎক্ষণিক মৃতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ।টাকা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস প্রমুখ।গৌড়ী লাল দাসের ঘরে স্রী ও চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং একটি কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।