ষ্টাপ রিপোর্টার।। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন ২ নং ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সালাউদ্দিন খলিফা ও একই ইউনিয়নের সচিব মোঃ নোমান। রাস্তার পাশে বাইক ফেলে দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চালানো পিকাআপ ভ্যান থেকে প্রাণে রক্ষা পান এই ২ আরোহি।
প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানান, গতকাল ৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে ভোলা শহর থেকে মোটরবাইক যোগে ইলিশার দিকে যাচ্ছিলেন ২নং ইলিশা ইউপি সচিব নোমান ও সদস্য সালাউদ্দিন। এসময় একই দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান বাপ্তা ভোটের ঘর এর নির্মানাধিন ব্রিজের কাছে কোন প্রকার পাশে জায়গা না দেয়ায় মোটর বাইক আরোহিরা বাইক ফেলে দিয়ে বেপরোয়া পিকআপ ভ্যানের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায়। এসময় পিকআপ ভ্যানের ড্রাইবার গাড়িটি না থামিয়ে ইলিশা ঘাটের দিকে বেপরোয়া চালিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা এসে মোটর বাইকের দুই আরোহিকে উদ্ধার করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইলিশা ইউপি সচিবকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন পিকআপ ভ্যানটিকে ইলিশা ঘাটে এসে চিহ্নত করলে ঘাটে থাকা শ্রমিকরা ইউপি সদস্যের কোন কথা না শুনে ফের তার উপর চড়াও হয়। এ সময় ইউপি সদস্য ও তার কর্মি সমর্থদের সাথে ঘাট শ্রমিকদের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পিকআপ ভ্যান চালক আহত হয়। ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন খলিফা জানান, বাপ্তা ভোটের ঘর এলাকায় আমাদের বাইককে সাইট না দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পিকআপ ভ্যান ড্রাইবার আমাদের আহত করে। সেখানে সে তার গাড়ি না থামিয়ে ব্যাপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহয়তায় আমি সচিব নোমান ভাইকে হাসপাতালে পাঠিয়ে ইলিশায় এসে চালককে চিহ্নিত করলে ঘাট শ্রমিকরা চালকের সাথে এক হয়ে ফের আমার উপর চড়াও হলে আমি ঘাট শ্রমিক ও ঘাটে থাকা ট্রাক ড্রাইবারদের হাত থেকে ২য় দফায় প্রাণে বাঁচতে একটা কাঠের লাঠি হাতে নেই। সেই লাঠির ঘটনা ভাইরাল করলেও তার আগে ও পরের কোন ঘটনা ভিডিওতে না দেখিয়ে শুধুমাত্র তাদের সুবিধামত আমার অংশটুকো ভাইরাল করে। আমি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করছি।