//মো: আশরাফুল আলম//
সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় করোনার করাল গ্রাস থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিয়ে ,দুই বছরের বিধি নিষেধ পেরিয়ে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র মাহে রমজান। বাংলাদেশের আকাশে গতকাল শনিবার হিজরি ১৪৪৩ সালের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে এবং আরো জানানো হয়েছে যে আগামী ২৮এপ্রিল দিবাগত রাত্রে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। রমজান মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই ঘরে ঘরে রোজার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ।মসজিদগুলোতে এশার নামাজের পরে প্রথম তারাবির জামাত আদায় করা হয়েছে। শেষ রাতে সেহ্রি খেয়ে রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই মাসে প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিবাভাগে পানাহারবঞ্চিত থেকে সংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি করে মহান আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ কামনা করবেন তাঁরা। রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। সে কারণে রোজা রাখার পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার ও দান-খয়রাতের মাধ্যমে বিগত জীবনের পাপতাপ মুক্তির জন্য দোয়াও করবেন। বরকতময় এই মাসে আল্লাহ পাকের রহমত ও ক্ষমা লাভের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সারা বছর প্রতীক্ষায় থাকেন।তাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এ মাসের তাৎপর্যের প্রতিফলন ঘটানো প্রতিটি মুসলিমের একান্ত দায়িত্ব।