মান্নান হাওলাদার ও আব্দুল আলী মাস্টারদের ভুলেই গেছেন জ্যাকব

 

মনিরুল ইসলামঃ চরফ্যশন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের ভুলেই গেছেন এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। ক্ষমতার আমলে তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কারও মৃত্যুতে মিলাদের আয়োজন তো দুরের কথা মৃত নেতাদের পরিবারের বিরুদ্ধাচারন করার বিস্তার অভিযোগ রয়েছে একক ক্ষতাবান এই নেতার বিরুদ্ধে। চরফ্যাশন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম দু”জন মান্নান হাওলাদার ও আব্দুল আলী মাষ্টার। রমিজ মোল্লার নামটি না বললেও কৃপনতা রয়ে যাবে। এই ৩ জন মানুষের বুদ্ধি পরামর্শেই স্বাধীনতার আগে ও পরে বিশেষ করে ৭৫ এর পরেও যারা কঠিন পরিস্থিতিতেও চরফ্যাশনে বসে পুরো জেলার আওয়ামীলীগের নের্তৃত্ব দিয়েছেন। সেই মানুষগুলো মৃত্যুর আগে ও পরে চরফ্যাশন বর্তমান আ’লীগ নেতাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানটুকো পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। চরফ্যাশনের সিনিয়র নেতারা জানান,আজ যে মানুষটি দলের ক্ষমতার আমলে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী সেই মানুষটিই তাদের সম্মানতো দেয়ই নি বরং জিবীত থাকতেও অবহেলার পত্রহিসেবেই অপমান করেছেন অনেক সময়। অথচ এই আজকের জ্যাকব ও তার বাবা সাবেক সফল এমপি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষ ও নেতা বানানোর পিছনের কারিগর ই ছিলেন আব্দুল আলী মাষ্টার ও মান্নান হাওলাদার। আব্দুল আলী মাস্টারের দুলার হাটের বাড়িতে থেকেই মাস্টার্স পাস করেছেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। চরফ্যাশন আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতারা জানান, আব্দুল আলী মাস্টারই এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বাবাকে দুলার হাট স্কুলে চাকুরি দিয়ে পরবর্তীতে চরফ্যশন কলেজের অধ্যক্ষ বানিয়ে ওই অবহেলিত অঞ্চলের মানুষ শিক্ষা ও রাজনীতির দায়িত্ব তুলে দেন অধ্যক্ষ নজরুলের হাতে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী দূর্দিনে উপজেলা আওয়ামীলীগের বাতিঘর হিসেবে পুরোজেলায় আ’লীগের রাজনীতির আলো জ্বালিয়েছেন মান্নান হাওলাদার,আব্দুল আলী মাষ্টার ও তার ছোট ভাই অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। উল্লেখ্য নজরুল ইসলাম, আব্দুল আলী মাস্টারকে বড় ভাই হিসেবেই ডাকতেন বলে উপজেলার প্রবীন নেতারা জানিয়েছেন। চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের দূরসময়ের কান্ডারী, চরফ্যাশন উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও ৪০ বছরের সভাপতি, মুক্তি যোদ্ধার সফল সংগঠক, সাগর উপকুলের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের আপনজন মান্নান হাওলাদারের ২ দিন আগে চলে যাওয়া মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন কর্মসুচিতো দুরের কথা স্বরণ করার মত কোন মিলাদের আয়োজনও হয়নি দলীয় ভাবে।এতে করে নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীরা জানতে পারে না তাদের দল ও সংঘঠন সম্পর্কে। আর সিনিয়রদের অপমানে রাজনিতি থেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন ত্যগী নেতা কর্মীরা। এমপি জ্যকবের একক ক্ষমতা, নের্তৃত্ব ও জেলা আওয়ামীলীগের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা ও উপজেলার দুর্দিনের নেতাকর্মীরা।

SHARE