শিক্ষা প্রতিবেদকঃ এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুনে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগস্টে নেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে এবার ধর্ম, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা থাকছে না। নেওয়া হবে না টেস্ট পরীক্ষাও। তবে এক মাসে ‘প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা’ নেওয়া হবে। সেই হিসাবে এসএসসির প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা মে এবং এইচএসসির জুনে নেওয়া যাবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জরুরি বৈঠকে রোববার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব যাবে। সেটি অনুমোদিত হলেই জানা যাবে। এজন্য দু-তিনদিন অপেক্ষা করা লাগতে পারে। পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা না হলেও ফল ১০০ নম্বরেই তৈরি করা হবে। প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার পরই ফর্ম পূরণের কাজ শুরু হবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার যেসব বিষয়ে ব্যাবহারিক নেই, সেগুলোয় ৫৫ নম্বরে পরীক্ষা হবে। আর যেগুলোয় ব্যাবহারিক আছে, সেগুলোয় ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ব্যাবহারিক বিষয় বেশি থাকে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগেও কৃষিশিক্ষার মতো ব্যাবহারিক বিষয় আছে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লিখিত নীতি অনুযায়ী, ব্যাবহারিক নেই এমন বিষয়ে ৮টি সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হবে। আর ১১টি প্রশ্নের মধ্যে দিতে হবে ৪টির উত্তর। এই হিসাবে প্রতিটি প্রশ্নে ১০ করে নম্বর থাকলে যথাক্রমে ৩০ বা ৪০ নম্বরের সৃজনশীল অংশের উত্তর করতে হবে। এছাড়া বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক সবাইকেই ৩০টির মধ্যে ১৫টি এমসিকিউ-এর উত্তর দিতে হবে। ব্যাবহারিক পরীক্ষা ২৫ নম্বরেই হবে।
সূত্রমতে, নির্বাচনি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল না। তা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে রোববার এ পরীক্ষাসংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে অফিস আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়। পরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এই জরুরি বৈঠক করে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত জানায়।
এসব বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে আলোচনার আলোকেই সিদ্ধান্তগুলো এসেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর দুই-তিন দিনের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে।