মনপুরায় শিক্ষকের স্ত্রী’র উপর বর্বরতা

 

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ ভোলার মনপুরায় মাদ্রাসাশিক্ষকের স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম, শ্লীলতাহানী ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পিটিয়ে রক্তাক্ত, হত্যাচেষ্টা, শ্লীলতাহানী, ছিনতাই ও সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ এনে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন গুরুতর আহত ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের স্ত্রী। এদিকে অধিক রক্তক্ষরণের কারনে গুরুতর আহত অবস্থায় মাদ্রাসাশিক্ষকের স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা ফকির হাট দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শামীমের সাথে অভিযুক্ত একই এলাকার বাসিন্দা রহমানপুর নজির আহম্মদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ বেলাল হোসেনের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। মাদ্রাসা শিক্ষক শামীমের জমি থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি গাছ কেটে নেয় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক বেলাল। পরবর্তিতে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হাজীর হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এবং কাগজপত্র যাচাই করে উপজেলা ভূমি অফিসের সর্ভেয়ার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের উপস্থিততিতে জমি মেপে সীমানা নির্ধারন করে দেয়া হয়। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকসহ মামলার আসামীগন অন্যায়ভাবে জমি দখল করতে না পেরে গত শনিবার (০৮ জানুয়ারী) দুপুর দেড় টায় মাদ্রাসার শিক্ষকের স্ত্রীকে বাড়ির দরজায় পেয়ে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এসময় অভিযোক্ত স্কুলশিক্ষক বেলালের নের্তৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে এলাপাতারী মারধর করে ও তলপেটে লাথি দিলে অজ্ঞান হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন। আহত মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রী অপারেশনের রোগী হওয়ায় তার প্রচুর রক্তক্ষন হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়। উক্ত ঘটনায় পিটিয়ে রক্তাক্ত, হত্যাচেষ্টা, শ্লীলতাহানী, ছিনতাই ও সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ এনে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন গুরুতর আহত ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের স্ত্রী। এব্যাপারে মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। অভিযোগের প্রমান পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

SHARE