ভোলায় সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় মোবাইল রাখার অপরাধে ৫৫ জনকে সাজা দিলেও এই মোবাইলের ভিতরে কতটিতে উত্তর পত্র এসেছে তা পরিস্কার করেনি প্রশাসন। উত্তরপত্র পাঠানো চক্রের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও পরিস্কার করেনি ভোলার প্রশাসন। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ভোলার প্রসাশনের ভুমিকা দুপুরে ভালো দেখলেও বিকেলের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১মে ভোলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পদে পরিক্ষা। এ জেলায় মোট সাড়ে ১১হাজার পরিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। উক্ত পরিক্ষার কেন্দ্রে কিছু পরিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত ৫৫জন পরিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। এরমধ্যে ২জন মহিলা পরির্ক্ষাথী সাজার খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে কতটি প্রশ্নপত্রে উত্তর রয়েছে তা এখনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন এ নিয়ে ভোলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ মোবাইল গুলোকে কোন চক্রের দেয়া উত্তরপত্র আছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখেনি প্রশাসন। বিষয়টি আড়ালে রয়েছে বলে ধারনা করছেন সাধারণ মানুষ এমনকি প্রশাসন মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখলে বেড়িয়ে আসতো মুলহোতাদের প্রশ্নপত্র ফাস ও উত্তর পত্র পাঠানোর সকল চক্রদের নাম ও ঠিকানা।
(আল-এম, ১১মে-২০১৮ইং)