ভোলা নিউজ ডেস্কঃ
“বাবা নিজের ছেলের সাথে দেখা করতে শহরে এল। গিয়ে দেখলো, তার ছেলের সাথে একটা খুব সুন্দরী মেয়েও থাকে।
রাতে তিন জন যখন এক সাথে ডিনার টেবিলে বসলো, বাবা জিজ্ঞেস করলো– তোর সাথে এই মেয়েটি কে রে ?
ছেলে বলল- বাবা, ও আমার রুম পার্টনার, আমার সাথে থাকে . . . তুমি এটা নিয়ে কী ভাবছ, সেটা আমি জানি। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে সে রকম কোন সম্পর্কই নেই। আমাদের দুজনের আলাদা আলাদা কামরা, আলাদা আলাদা বেড | আমরা দু’জন শুধু খুব ভাল বন্ধু।
বাপ বলল- ঠিক আছে…
পরের দিন বাপ নিজের গ্রামে চলে গেল……… এক সপ্তাহ পর…
মেয়েটি ছেলেটিকে বলল –শোনো, গত রবিবার তোমার বাবা যে প্লেটে ডিনার করেছিলেন, ওই প্লেটটা খুঁজে পাচ্ছি না, আমার সন্দেহ তোমার বাবাই এটা নিয়ে গেছেন।
ছেলেটি রেগে গিয়ে বলল– শাট আপ.. . এসব কী কথা, তুমি কি আমার বাবাকে চোর বলছো ?
মেয়েটি বলল- তা না | কিন্তু, তুমি একবার তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেই দেখো না, জিজ্ঞেস করতে আপত্তি কিসের?
ছেলেটি বলল- OK, আমি জিজ্ঞেস করব…
পরদিন ছেলে বাপকে একটা ই-মেল পাঠালো..তাতে লিখলো–আমি এটা বলছি না যে আপনি আমাদের প্লেটটা চুরি করে নিয়ে গেছেন, অথবা এটাও বলছি না যে আপনি প্লেটটা নিয়ে যাননি … মানে, যদি ভুলবশতঃ আপনি প্লেটটা নিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে ওটা ফেরত দিয়ে দেবেন কারণ, ওটা ওই মেয়েটির খুব পছন্দের প্লেট ।
ইতি,
আপনার ছেলে
এক ঘন্টা পরই বাবার জবাব এলো– আমি এটা বলছি না যে তোর্ রুম পার্টনার রাতে তোর্ সাথে ঘুমায় আবার এটাও বলছি না যে ওই মেয়েটি রাতে তোর্ সাথে ঘুমায় না | তবে ওই মেয়েটি যদি পুরো সপ্তাহের মধ্যে একবারও তার নিজের রুমে, নিজের বেডে শুতে যেত, তাহলে ওর বালিশের নিচেই সে তার প্লেটটা পেয়ে যেত, কারণ প্লেটটা আমি ওখানেই লুকিয়ে রেখে এসেছিলাম।
ইতি
তোর বাপ