হায় উবার হায় পাঠাও — পলাশ আহসান

 

নিউজ ডেস্ক, ভোলা নিউজঃ দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও লেখক পলাশ আহসান আজ তার ফেইজবুকে রাজধানি ঢাকার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। লেখাটি ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো….. ” রাইড শেয়ারিং এর অব্যবস্থাপনা এখন ভয়াবহ। সকাল আটটার পর থেকে না থাকে মোটর না থাকে কার।২০মিনিটের চেষ্টায় একটা পাওয়া গেলেও যেতে রাজি হয় না। আবার কেটেও দেয়না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কারণ তারা জানে তাড়াহুড়ো আছে, যাত্রী নিজেই কেটে দেবে। কিন্তু রাস্তায় নামলে ভিন্ন চিত্র। বাইক আর কারের ভিড়ে হেঁটে চলাই দায়। কাছে এসে জিজ্ঞেস করে “স্যার কোথায় যাবেন?” মোটর সাইকেলগুলোর এই সমস্যা বেশি। দু’একজন আরেক কাঠি সরেস। অ্যাপস দিয়ে ডেকে বাহনে ওঠার পর বলেন, স্যার লাইনটা কেটে দেই? না হলে আমাকে কোম্পানিকে ভাড়ার ২৫ ভাগ দিতে হবে। টাকার খুব দরকার। যাত্রীর তাড়া আছে। চরম বিরক্ত হলেও কী বলবেন তিনি?রাইড শেয়ারিং এর শুরু থেকেই আমি এর সঙ্গে আছি। প্রথম এক বছর কী যে শান্তি লাগতো। আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে পুরো ব্যবস্থাপনাটা খাদের কিনারে এসে ঠেকেছে। আমার অভিজ্ঞতা পাঠাও এর মোটর সার্ভিস থেকে পঁচন শুরু। এখন তাদের কার সার্ভিসও শেষ।উবারের মোটর সার্ভিস প্রতারকে ভরে গেছে। আজই আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে একজনকে পাওয়ার তিনি আসলেন না। তাদের কার সার্ভিস কিছুটা সভ্য আছে। কিন্তু আজ সকালেই আসবো বললো, কিন্ত কিছু না বলেই লাইন কেটে দিল এক রাইডার। এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। জানিনা উবার পাঠাও কর্তৃপক্ষ এই বঞ্চনার গল্প জানেন কী না। আপনারদের জন্যে দুটো স্ক্রিনশট এবং রাস্তার ছবি শেয়ার করছি। পাশাপাশি বলছি আপনাদের ব্যবস্থাপনা একসময় সবাইকে মুগ্ধ করতো।”

SHARE