ক্রাইম ডেস্ক।। ভোলা নিউজঃ মৃত মেয়ের মা বলছে অত্যাচারির বিচার চাই, ঠিকাদার জামাল বলছেন মেয়ের বয়স ১২ বছর। পুলিশ বলছে আমরা যাওয়ার আগেই লাশ নামিয়ে ফেলছে। এলাকাবাসি বলছে প্রায়ই এই সুন্দরি মেয়েটির কান্না শুনা যেতো। ওসি বলছে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। সব মিলেই অসংগতি দেখা দিয়েছে। ১৮ অক্টোবর ভোলা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্নপাড়ার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে সোনিয়া (১৪) নামের সুন্দরি গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে ঠিকাদার জামাল গোলদারের বাসার নিচ তালার বাথরুম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন। তবে এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা হবে বলে জানান ওসি। ভোলা থানার এসআই মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আজ সোমবার দুপুরে ভোলা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জামাল গোলদারে ফ্ল্যাটের নিচ তালায় থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন গৃহকর্মী সোনিয়ার জীবন বাচাঁনোর চেষ্টায় তাকে আগেই বের করে রাখেন। এসময় তারা লাশটি বাথরুমে বাইরে পেয়েছে বলে জানান। ঐ ফ্ল্যাটের মালিক জামাল গোলদার জানায়, সকালের দিকে আমার বাসার কেয়ারটেকার শাহাবুদ্দিন বাথরুমের দরজা খুলে সোনিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে সবাই মিলে ধরে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করলে তার নিথর শরীর দেখতে পায়। পরে ভোলা সদর থানায় জানানো হলে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
নিহত সোনিয়া লালমোহন উপজেলার ধলীগড়নগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের মৃত মিলনের মেয়ে। তার মা নাজমা বেগম ও দাদা খবর পেয়ে সোনিয়াকে শেষ বারের মতো দেখতে আসে। তবে এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেননি থানায়। তবে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, প্রায় সময় গৃহকর্মী সোনিয়াকে মারধর করা হতো। মাঝে মধ্যেই তার কান্নার চিৎকার শুনা যেতো। মেয়েটি খুব সুন্দরি ছিলেও বলে জানিয়েছেন পাশের বাসার ভারাটিয়ে। আত্মহত্যার ঘঁনাটি রহস্যজনক হতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। গৃহকর্মী সোনিয়ার মা নাজমা বেগম বলেন, গত ৩ মাস ধরে আমার মেয়ে জামাল ঠিকাদারের বাসায় কাজ করে। তারা জানিয়েছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার ১৪ বছরের মেয়ে আত্ন হত্যার কি বুঝে? আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিচার দাবী করছি। ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে সোনিয়ার মৃত্যুর মূল রহস্য জানা যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অভিযোগ পেলে আইনানুনগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ম্যানেজ করতে নয়া মিশনে নেমেছে ভোলার অভিজাত পাড়ার লোকজন। তারা একাদিক ডাক্তারের সাথেও কথা বলেছেন রিপোর্ট ম্যানেজ করার জন্য। এসব অসংগতির সকল সমাধান মিলাবে ভোলা নিউজ, সাথে থাকুন……