মনজু ইসলামঃভোলায় মাকে বসত ঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে ঘরে ডাবল তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছেলে বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ জুন ২০২১) ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কুঞ্জপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই মা তালাবদ্ধ ঘরের দরজার সামনে বসে বিকেল পর্যন্ত ঘরে প্রবেশের জন্য কাঁদতে দেখা গেছে। জয়তুল বিবি নামে ওই মা অভিযোগ করে জানান,দুই সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় ২০ বছর আগে আমার স্বামী শাহে আলম আরেকটি বিয়ে করে আমাদের ছেড়ে চলে যায়।স্বামী দ্বিতীয় বউ নিয়ে চলে যাওয়ায় ছোট ছোট সন্তাদের নিয়ে অনেক বিপাকে পড়ি।ছেলে সন্তান সহ ক্ষুধার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম চলে যাই।সেখানে বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাই। এরমধ্যে কিছু টাকা সঞ্চয় করে গ্রামের বাড়ি ভেলুমিয়া এলাকায় প্রায় ১৫ গন্ডা জমি ক্রয় করি। বেশ কয়েক বছর আগে তার বড় ছেলে বিল্লাল হোসেন ও ছোট ছেলে হেলার বিয়ে করেন। বড় ছেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন।বড় ছেলে তার খাওয়ার খবচের টাকা দেয়। ছোট ছেলে হেলাল গ্রামেই আলাদা হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন ।ছোট ছেলে হেলাল কখনও খাওয়ার খরচের টাকা দিতো না। উল্টো তার ক্রয়কৃত জমির লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো ছেলে হেলাল ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার তুলি।
তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, রবিবার সকালে হেলালের উস্কানিতে স্ত্রী রিনা আমার ঘরে এসে জমি লিখে দিতে জোর করে। আমি রাজি না হলে হেলালের স্ত্রী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল আমাকে ইট মারতে থাকে। একটা পর্যায় হেলাল ও তার স্ত্রী মিলে আমাকে ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এলাকার মানুষ ওদের ভয়ে কেউ আমাকে সাহায্য করে না। এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে বিচার দিয়েছি কিন্তু কারো কাছে বিচার পাইনি। আজ সকাল থেকে সারাটা দিন বৃষ্টির মধ্যে ঘরের বাইরে ছিলাম। অনেক কান্নাকাটি করেও কারো কাছে বিচার পাইনি। নিরুপায় হয়েই ঘরের দরজার সামনে বসে বসে কাঁদতে হয় আমাকে। অভিযুক্ত ছেলে মোঃ হেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি তার নিজের ক্রয়কৃত জমির ঘরে তালা দিয়েছেন। তার বড় ভাই বিল্লাল ও মামা মোঃ আফসার পাটওয়ারি আমাকে ষড়যন্ত্র করে এলাকা থেকে তারিয়ে জমি ঘায়েল করার পাঁয়তারা করছে। আমি এতে বাধা দিলে আমার মাকে দিয়ে এসব ষড়যন্ত্র করছেন। ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ মোশারেফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযুক্ত হেলালকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।