ইয়ামিন হোসেনঃ
ভোলা নিউজ-৩০.০৪.১৮
সাবেক মেয়র গোলাম নবী আলমগীরের খালের মধ্যে দেওয়া গাইডে ওয়ালের বাহিরে আমি এক চুল ও যায়নি বলে জানান ভোলার পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির। সাবেক মন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহাজান পানি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আমলে গোলাম নবী আলমগীর পৌর মেয়র থাকা কালিন ১ বারের জন্য ও খাল খনন করেন নি বলেও সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন এ আধুনিক পৌরসভার রুপকার।
শোমবার সকালে ভোলায় পৌরসভায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে পৌরসভার সম্প্রতিক বিষয় নিয়ে খোলা মেলা কথা বলেন মেয়র মনির।
এই সময় তিনি, সাবেক মেয়র এর জিয়া মার্কেট এর দুর্নীতি তুলে ধরে বলেন, এ মার্কেটের হাজি সাহেবর পরিচিত একাধিক ব্যাবসায়ীকে চাহিদার তুলনায় বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন এবং ওই ব্যাবসায়ী পৌরসভাকে যে রেট দিতে চেয়েছেন অজানা কারনে তাও কমিয়ে দিয়েছেন।
আগের মেয়র কাউন্সিররা ব্যবসীদের কাছ থেকে চাদাঁবাজী করতো, আমরা ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি।
আমরা কোন দল বাজী করিনি,মেয়র হয়েই পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে উসৎর্গ করেছি।
আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ পৌরবাসীকে যেই পরিমান সাহায্য সহযোগীতা করেছেন,তা ভোলায় কোন নেতা কোন দিন করেনি উল্লেখ করে বলেন, সাবেক মন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাহাজান পানি ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর আমলে গোলাম নবী আলমগীর পৌর মেয়র থাকা কালিন ১ বারের জন্য ও খাল খনন করেন নি।
অথছ আজ খাল নিয়ে মায়া কান্না করছেন।
তিনি কোন দিন কোন ভিক্ষুক কে ভিক্ষা পর্যন্ত দেননি।
দিয়েছেন কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি পদত্যাগ করবো।
ভোলা পৌরসভা ৬ টি খালসহ সকল উন্নয়ন কাজ চলছে,খুব দ্রুত শেষ হবেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন,তারা চাইলে পৌরসভা তাদের ঘর নির্মাণ করে দিবে।
আর তা হবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মতামত ও আলোচনা সাপেক্ষ।
তিনি সাম্রতিক শহরের চুরির ঘটনায় উল্লেখ করে সাংবাদিকের বলেন,পৌরবাসীকে আগে মাদক থেকে রক্ষা করতে হবে।
আর এটা হলে সব ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে।
এই ছাড়া কাউন্সিলদের নেতৃত্ব প্রতিটি ওয়ার্ডে পাহারাদার নিয়োগ করা হবে।
সর্বশেষ তিনি গোলাম নবী আলমগীর এর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, যে নেতা পৌরসভার সিমানা চিনেন না, তিনি যদি সংসদ নির্বাচন করতে চান,তাহলে ভোলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ও তিনি সংকা প্রকাশ করেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমেন্ডার দোস্ত মাহমুদ,ডেপটি কমেন্ডার সফিকুল ইসলাম,জসিম উদ্দিন আরজু,প্রেসক্লাব আহবায়ক এম এ তাহের,
সাবেক সভাপতি এম হাবিবুর রহমান,পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনঞ্জুরুল আলম,অনলাইন সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি সামস উল আলম মিঠু,কাউন্সিলর সাংবাদিক আতিকুর রহমানসহ সকল কাউন্সিলর ও ভোলা ইলেকট্রনিক্স ও পিন্ট্র মিডিয়ার সাংবাদিকরা।