মনজু ইসলাম//করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে তরমুজ বিক্রি করে লাভবান ভোলার তরমুজ চাষিরা। এবছর ভোলায় তরমুজে বাম্পার ফলন হয়েছে।এদিকে চাষিরা তরমুজ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করার সময় সরকারের পক্ষে থেকে ডাকা হয় লকডাউন।এ কারনেই কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভোলার তরমুজ চাষিরা। তবে কৃষি বিপণন অধিদফতরের পরামর্শে ভোলাসহ সারাদেশের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারের তরমুজ বিক্রি করা অব্যাহত রয়েছে। এ কারনে এবার লাভবানে ভোলার তরমুজ চাষিরা।ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ৫নং ওয়ার্ডের তরমুজ চাষি কামাল মেম্বার বলেন,এ বছর তরমুজ চাষি আগের বছরের তুলনায় এনেক কম।যার কারনে বাজারে তরমুজের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি।তিনি আরো পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ও মাটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর তরমুজে আমরা বাম্পার ফলন আশা করছি। বর্তমানে বাজারের তরমুজের ভালো চাহিদা রয়েছে।যার কারনে আমরা ভালো দামের পাশাপাশি গত বছরে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের তরমুজ চাষি কোহিনুর বেগম বলেন, এ বছর আমরা দেড় লাখ টাকা খরচ করে দুই কানি (অর্থাৎ ৩২০ শতাংশ) জমিতে তরমুজ চাষ করি। লকডাউনের মধ্যে খেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ চিন্তিত ছিলাম, তখন ভোলা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে তরমুজ পাইকারি বিক্রির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শে আমরা তরমুজ বিক্রি করছি।চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ও দুলারহাট এলাকার তরমুজ চাষি মো. বাবলু ও হারিছ জানান, গত বছর করোনার কারণে বাজারে তরমুজ বিক্রি করেও দাম তেমন পাওয়া যায়নি। যার কারণে অনেক লোকসানে আমরা। এ বছর করোনার মধ্যেও বাজারে তরমুজের ভালো দাম।ভোলার দিদার মসজিদ গলি তরমুজের আড়তে শত ২০ থেকে ২৪ হাজার টাকা বিক্রি করছি। এতে গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া হবে।ভোলার শহরের দিদার মসজিদ গলী খাল পাড় এলাকার তরমুজের পাইকারি আড়তদার মো. কামরুল জানান, সারাদেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে তরমুজ পরিবহনের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য কৃষি বিপণন অধিদফতর আমাদের স্টিকার দিয়েছে। তরমুজ পরিবহনে ওই স্টিকার লাগিয়ে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালসহ সারাদেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আমরা তরমুজ বিক্রি করছি।ভোলা কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সোহেল জানান, এ বছর ভোলার সাত উপজেলায় ৫ হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আর হেক্টর প্রতি ৫৫ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহা-পরিচালকের নির্দেশে চাষিদের তরমুজ বিক্রি করার জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছি। তরমুজ চাষি ও পাইকারি বিক্রেতাদের গাড়িতে আমরা ‘জরুরি কৃষি পণ্য সরবরাহ’ স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছি। এতে চাষি ও পাইকারি আড়তদাররা কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই সারাদেশের বিভিন্ন বাজারে ন্যায্য মূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন।