রাজনিতির ঐতিহাসিক প্রবাদ বদলে দিলেন – আওয়ামীলীগের নকিব

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ভোলা নিউজঃ

“রাজনিতিতে শেষ বলতে কিছু নাই” রাজনিতির এই ঐতিহাসিক প্রবাদ বাক্যটি আবারো ভুল প্রমানিত করলেন ভোলার আওয়ামী রাজনিতির পাওয়ার হাউজ খ্যাত জহুরুল ইসলাম নকিব। ভোলার আওয়ামী রাজনিতিতে নিজের স্বার্থে অনেকে তোফায়েল আহমেদে এর বিরুদ্ধচারণ করলেও নুন্যতম সময়ের জন্যেও নেতার কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাননি ভোলার নিবেদিত প্রাণ আওয়ামীলীগ তথা গরিবের নেতা নকিব। দুর্দিনে সবার আগে যে মানুষটিকে কাছে পাওয়া যায়। ব্যাক্তিগত ও সমাজিক সমস্যায় আপন হয়ে যে মানুষটি সকলের বিপদে আয়েসী জীবন রেখে অসহায়দের কাতারে নেমে এসে বিপদ মোকাবেলায় এক সাথে কাজ করেন। মেঘনার ভাঙ্গনে রাজাপুর ইলিশা ধনিয়া কাচিয়ার মানুষ যখন দিশেহারা তখন ও এই মানুষটি ই ছিলেন জনতার কাতারে।। মরণ ব্যাধি করোনা যখন হানা দিয়েছে মানুষের প্রাণ নিতে, তখন জীবনের ঝুকি নিয়ে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আবারো সাধারণ মানুষদের কাতার নেমে এসে নদীর পাড়ের গ্রামে গ্রামে গিয়ে অসহায়দের খুঁজে বের করছেন। সাহায্যের পাশাপাশি তাদের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন। এই প্ররাচা বিমূখ মানুষটি আজ শুধু সদর উপজেলার মানুষের আপনজনই নন ভোলার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হৃদয়ের স্পন্দন পরিনত হয়েছেন।

২০০১ এর অসহায় মুহুর্তে আওয়ামী নেতা কর্মীরা যখন দিশেহার তখন নেতাকর্মীদের পাশে যে মানুষকে সর্বদা পাওয়া গেছে তিনি হলেন ভোলার তৃণমূল আওয়ামীলীগের পাওয়ার হাউজ জহুরুল ইসলাম নকিব। ২০০১ সালে ৪টি হত্যাসহ ১৯ টি মামলা নিয়েও রাজ পথ না ছেড়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে উৎসাহ যুগিয়েছেন এই আপোষহীন মুনুষটি। না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেও মানুষ বেঈমানির চিন্তা করে অথচ না পেয়েও তোফায়েল আহমেদের বিশ্বস্থ হাতিয়ার আস্থাভাজন হয়ে দল গঠনে কাজ করে গেছেন নিরোলস ভাবে।
ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া তৃণমূল আওয়ামীলীগের এ প্রান শক্তি ভোলা জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করে ভোলার তরুণ সমাজকে আওয়ামী রাজনীতিতে আকৃষ্ট করিয়ে ভোলার আওয়ামীলীগকে শক্ত ভীতের উপর দাড় করান এই দক্ষ সংঘঠক। এরপর জহিরুল ইসলাম নকিব জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে পর পর সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন, পর পর ২ বার তার গতিশীল নেতৃত্বে ভোলার আওয়ামীলীগ শক্তিশালী ভীতের উপর দাড়িয়েছেন। তেমনি সদর উপজেলার বার বার নদী ভাংতি মানুষগুলোর ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়েছে বিশেষ করে ভোলা সদর উত্তরের মানুষকে নদী ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা করতে দিন রাত শ্রম দিয়ে সফলও হয়েছেন জহুরুল ইসলাম নকিব তিনি তার চেষ্টায় জননেতা তোফায়েল আহমেদ নদী ভাঙ্গা মানুষকে অন্তত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলানোর ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন স্থায়ী ব্লক বাঁধের মাধ্যমে। আর এই মানুষটি রাষ্ট্রীয় বড় কোন পদ না পেলেও দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েই নিরোলসভাব কাজ করে যাচ্ছেন ভোলার দলীয় নেতা কর্মীসহ সাধারণ মানুষের জন্যে। এবারের ২৮ ফেব্রুয়ারীর ভোলা পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর অনেকে মনে করেছিলেন নকিব মাঠে নামবেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে জননেতার সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন নকিব। কয়েক দিন অভিমানে থাকলেও পরবর্তীতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মনিরুজ্জামানের পক্ষেই ভোট চাইলেন ভোলার আওয়ামীলীগের এই প্রান শক্তি।

“রাজনিতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই” তা হলেকি রাজনিতির এই ঐতিহাসিক প্রবাদ বাক্য বদলে দিলেন জহুরুল ইসলাম নকিব? এমনাটাই প্রশ্ন ভোলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

SHARE