বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃভোলার বোরহানউদ্দিন পূর্ব বাজার থেকে রানিগঞ্জ ও আলীমুদ্দিন বাংলাবাজার ব্যস্ততম সড়ক। দীর্ঘদিন সড়ক মেরামত না করায় রাস্তাটি ভেঙেচুরে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছিলো।স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি মেরামতের অভাবে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এর ডিও লেটার এর মাধ্যমে এলজিইডি জিওবি মেনটেনেন্স এর আওতায় নিয়ে ৪.৮ কিলোমিটার রাস্তাটি ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় ব্যায় নির্ধারণ করে টেন্ডার আহ্বান করে। রাস্তা নির্মাণ কাজে টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স হাওলাদার কনস্ট্রাকশন রাস্তার পুনঃ নির্মাণের কাজ পায়। হাওলাদার কনস্ট্রাকশ রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজটি পেয়ে নিজে না করে সাব ঠিকাদার জনৈক নিরব গোলদারের কাছে পার্সেন্টেজ নিয়ে কাজ বিক্রি করে দেন।কাজের শুরু থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাজ চলমান থাকলেও অতি নিম্নমানের নির্মাণ ইটের খোয়া ব্যবহারের ফলে রোলার মেশিন দিয়ে সমতল করার সময় ধুলায় পরিণত হয়। যার ফলে রাস্তার আশপাশের দোকান-পাট , গাছ-গাছালি ইটের ধুলোয় লাল কালার ধারণ করা পাশাপাশি জন জীবন বিষিয়ে তুলেছে। রাস্তা পুনঃ র্নির্মাণের জন্য সরকারের কোটি টাকা ধুলো উড়ছে। রাস্তাটি ৩ মিটার চওড়া হওয়ার কথা থাকলেও বহু জায়গায় তা মানা হয়নি।ইতিমধ্যে রাস্তায় কার্পেটিং পিজ ডালাইয়ের কাজ চলমান অবস্থায় রাণীগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে দেখাযায় পিজ ডালাইয়ের দৃশ্যমান অনিয়ম। রাস্তায় টেক কোড না করে পাথর ও বিটুমিন মেশানো পাতলা প্রলেপ দিয়ে ঢেকে রোলার করা হয়।যার ভিডিও চিত্র সংবাদ কর্মীদের কাছে রয়েছে। এতসব অনিয়মের ব্যাপারে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও ভোলার এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে রাস্তা পুনঃ নির্মাণকারি সাব ঠিকাদার নিরব গোলদার এর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে স্থানীয় একজন রতন নামের একজন নিজেকে ওই কাজের ঠিকাদার দাবি করে জানান, নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। ভোলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, টেক কোড করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাহিরে কাজ করার নিয়ম নেই। যদি কাজে অনিয়ম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।