সোহান সোহাগ মনপুরা প্রতিনিধিঃ-
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় টেন্ডার ছাড়াই সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উজাড় করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
সম্প্রতি সড়ক সংস্কারের অজুহাতে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থেকে দিনে দুপুরে গাছ কেটে সাবাড় করেছে দক্ষিণ সাকুচিয়া ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মহরলাল চক্রবর্তী।
ইউপি সদস্য মহরলাল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সকল তথ্য প্রমান থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন বিভাগের কর্মকর্তা সুমন দাস ও দক্ষিণ সাকুচিয়া বিট কর্মকর্তা মোঃ মোবারক সাহেব।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ, দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ক্ষুব্ধ হয়ে বারবার অভিযোগ-প্রতিবাদ জানিয়েও ফল পায়নি স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়ার মেইন সড়ক ও বেড়িবাঁধ থেকে চার কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের গাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে। রাতের আঁধার ও দিনের বেলায় এসব মূল্যবান গাছ কেটে নেয়া হচ্ছে। গাছ কাটা ও বিক্রি তদারকি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ও উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন দাস ও বিট কর্মকর্তা কর্মচারীরা । গাছ কাটার সঙ্গে সঙ্গেই ডালপালা বিক্রি করা হচ্ছে। এসব গাছ দিয়ে বানানো হয় নৌকা ও প্রভাবশালীদের বাড়ির আসবাবপত্র।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অধীনে রোপণ করা ২৫-৩০ বছর আগের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি মনপুরা দখিনা হাওয়া সী বীচ কে কেন্দ্র করে দখল হচ্ছে সরকারি জায়গা দখলের হীরিক,
মনপুরা ইউএনও মোঃ শামীম মিঞা বলেন, সড়কের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। আগে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না তাও জানি না। বিষয়টি সরেজমিন ঘুরে দেখবেন।