স্টাফ রিপোর্টার।।ভোলায় নির্যাতন সইতে না পেরে মোসাঃ জান্নাত (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধায় ভোলা সদর উপজেলার ৬নং ধনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামের কলনী তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাত (১১) মোসলেউদ্দিনের মেয়ে, জান্নাত এর বাবা মা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। ছোট বেলা থেকেই জান্নাত তার দাদা নুর-ইসলামের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করেন। জান্নাত স্থানীয় দড়িরাম শংকর ব্রাক শিশু নিকেতনে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। জান্নাত স্কুলে যাওয়া -আসার সময় হাসনাইন (১৭) নামে একটি ছেলে থাকে প্রেমের প্রস্তাব করে। হাসনাইন ঐ এলাকার সিদ্দিক রাজ বাড়ির মৃতঃ নুর ইসলাম রাজের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। কিছুদিন যাওয়ার পর হাসনাইন ও জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, বিষয়টি হাসনাইনের মা জানতে পেরে, বিচার নিয়ে জান্নাতের দাদুর কাছে আসলে তাদের ভিতর ঝগড়া হয়। তারপর থেকে হাসনাইন জান্নাতের বাসার সামনে বিভিন্ন সময় তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে থাকে। সাম্প্রতিক ৯ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৪.৩০মিনিটে হাসনাইন তার বাড়ির পাশে ফসলের মাঠে ছাগল চঁড়াতে গেলে তার সাথে দেখা করতে যায় জান্নাত, হাসনাইনের বোন সাথি তাদেরকে একসাথে দেখতে পেয়ে জান্নাত কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সাথিসহ তার অপর বোন এবং তার দুই ভাই কামরুল ও মাহবুবের সহযোগিতায় জান্নাতকে টেনে হিচড়ে তাদের বাসায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে, পরে জান্নাতের সাথে থাকা তার ছোট ভাই খবর নিয়ে জান্নাতের দাদুর কাছে গেলে হাসনাইনের পরিবার জান্নাত কে ছেড়ে দেয় । যার ফলে অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে বাসায় গিয়ে আড়ার সাথে আত্মহত্যা করে জান্নাত। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ।এ ব্যাপারেঅভি যুক্তহাসনাইন,সাথী,কামরুল ও মাহাবুবের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তাদের কে খুজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলতে পারছিনা তবে তদন্ত চলছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।