পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ মির্জাগঞ্জে যৌন নিপীড়ন শিকার হয়েছে ৪ বছরের এক শিশু।গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে শিশুটির বাবা মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।। মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে তারা। গত মঙ্গলবার বিকালে পাশের জাহাঙ্গীরের বাসায় তার মেয়ের সাথে খেলতে যায় শিশুটি। এসময় জাহাঙ্গীররে ছেলে খায়রুল (১৩) চানাচুর খাওয়ার লোভ দেখিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। পরে যৌন অঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে নিপীড়ন করে। কান্না করতেন করতে বাসায় আসলে দেখে রক্তক্ষরন হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে বলে, আম্মু ওই বাসার ভাইয়া আমারে ব্যাথা দিছে। লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে চুপ থাকে তারা।কিন্তু পরের দিন প্রসাবে করতে কষ্ট হচ্ছিল । যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ শামীম আহমেদ নিপিড়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। শিশুটির বাবা বলেন, মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করছি।এর সুষ্ঠু বিচার চাই। অপর দিকে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে এক গৃহবধূ(২৮) কে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে ওই গ্রামের মালেক খান ( ৪০)।এব্যারে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ওই গৃহবধূ।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি ওসি কে দেখার জন্য বলে। অভিযোগে জানাযায়, গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় কাজ করে। দুই সন্তান নিয়ে সে বাড়িতে থাকে।এই সুযোগে মালেক প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো।বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে মালেকে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে ও বাড়িতে যেতে নিষেধ করে। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে । সঙ্গে থাকা গামছা দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষনের চেষ্টা করে। কোন মতে ছাড়া পেয়ে গৃহবধূ ডাক চিৎকার করে। পরে লোকজনের আলাপ পেয়ে মালেক পালিয়ে যায়। স্থানী ইউপি সদস্য জাকির খান মিমস্যা করিয়া দিবে বলে ঘুরাত থাকলে অভিযোগ করতে দেরি হয়। ইউপি সদস্য মোঃ জাকির খান বলেন, বিষটি নিয়ে বসার কথা ছিলো। কিন্তু অভিযোগ হয়েছে এখন কী করার। মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা অভিযোগ করছে। অভিযোগ টি এজাহারভুক্ত করে নিয়মিত মামলায় রুজ করা হয়েছে।এব্যাপারে অইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর কলাগাছিয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।