পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাইর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে আহত করার পর রাতে তার বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে স্ত্রী কহিনুর বেগমকে মারধর করে স্বর্নালংকার লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। রাত ৯টার দিকে কুয়াকাটার ৯নং ওয়ার্ডের হোসেনপাড়া এলাকায় বেড়িবাধের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। আহত কহিনুর বেগম জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ওই এলাকার নুর সাইদ এর নেতৃত্বে ১০/১২জনের অপরিচিত লোকজন আচমকা তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় ঘরের মালামাল আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাকে মারধর শেষে স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এ সময় তিনি ডাক চিৎকার দিলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে এব্যপারে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক নুর সাইদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটা ওদের নিজস্ব ব্যপার আমি বা আমার কোন কর্মী এঘটনার সাথে জড়িত না। বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, গত কয়েকদিন ধরে কুয়াকাটায় বহিরাগতদের ভরে গেছে। চার পাচটি হোটেলে জেলা ও পার্শ্ববতি উপজেলার বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে আমার জগ প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মারধর করছে, তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করছে, তাদের বাসা বাড়ীতে হামলা করছে ভাংচুর করছে, ঘরে থাকা নারীদের উপরও হামলা চালাতে তারা দ্বিধাবোধ করছেনা। বিষয়টি আমি প্রতি মুহুর্ত প্রশাসনকে অবহিত করছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনা শুনিছি সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।