আরিয়ান আরিফ
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মক্তব ও নূরানী মাদরাসার নামে বরাদ্দকৃত ২ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে আত্মসাত করায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত ইউসুফ পালোয়ান নামে একজন পলাতক রয়েছে। এসময় ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদুর চর গ্রামের পালোয়ান বাড়ী থেকে মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালাল নামে দুজনকে আটক করা হয়। সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার নামে বরাদ্দকৃত ২ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ পালোয়ান। উত্তোলনকৃত চাউল মক্তব ও মাদ্রাসায় না দিয়ে আত্মসাত করে সেগুলো ইউসুফ পালোয়ানের বাসায় রেখে দেয়। বিষয়টি কমিটির লোকজন জানতে পেরে জেলা প্রশাসককে জানায়। জেলা প্রশাসক এ্যাসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেন। এসিল্যান্ড পুলিশের একটি টিম নিয়ে মজিবল হক পালোয়ান বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ইউসুফ পালোয়ানের ঘর থেকে আত্মসাৎ করা জিআর ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করেন। এসময় চাউল আত্মসাৎ করার অভিযোগে মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালালকে আটক করা হয়। ইউসুফ পালোয়ান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চর জাঙ্গালিয়া বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শমসের আলী বলেন, মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ পালোয়ান মক্তব ও নূরানী মাদ্রাসার নাম দিয়ে ২ টন জিআর চাউল উত্তোলন করে।চাউলগুলো মাদ্রাসায় হস্তান্তর না করে সেগুলো তাঁরা আত্মসাত করে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে জেলা প্রশাসকে জানাই। জেলা প্রশাসক এসিল্যান্ড ও পুলিশ পাঠিয়ে মজিবল হকের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ইউসুফের ঘর থেকে আত্মসাতকৃত ৮ বস্তা চাউল উদ্ধার করে। মজিবল হক পালোয়ান ও ইউসুফ দালালকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান।