।। তাইফুর সরোয়ার ।।
জাতীয় শিক্ষানীতি, টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) অভীষ্টসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বড় পরিবর্তন আসছে দেশের শিক্ষাক্রমে। পাল্টে যাচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রম। বিষয় ও পরীক্ষা কমিয়ে বইয়ে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর হবে। দশম শ্রেণির আগে থাকছে না কোনো পাবলিক পরীক্ষা। অভিন্ন বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণিতে। একজন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক নাকি ব্যবসায় শিক্ষায় পড়বে, সেটি ঠিক হবে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে-
এভাবে দেশের প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য বিদ্যমান শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
এনসিটিবির সূত্র মতে জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে নতুন বই প্রণয়নের কাজ শেষ করা হবে। এরপর ২০২২ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন বই দেওয়া শুরু হবে।
সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়েছিল, যা এখন চলছে। সাধারণত পাঁচ বছর পরপর শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজটি করছে এনসিটিবি।