১০ মিনিটের বিচারে নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক!

অনলাইন ডেস্ক,

৪২ বছরের গৃহিণীকে মাত্র দুই মিনিট দেয়া হয়েছিল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়। আমিনা হাসান নামের তুর্কি ওই নারী ইরাকি বিচারককে জানান, তিনি ও তার পরিবার সিরিয়া হয়ে ইরাকে অবৈধভাবে এসেছিলেন এবং আইএসের তথাকথিত রাজ্যে দুই বছরের বেশি সময় ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনই আইএস থেকে অর্থগ্রহণ করেননি। তিনি তুরস্ক থেকেই নিজের ভরণপোষণের খরচ যোগাতেন।

আমিনার পুরো বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লেগেছিল ১০ মিনিট এবং বিচারক তাকে ঝুলিয়ে হত্যা করার নির্দেশ দেন। এরপর আরেকজন তুর্কি নারী আসলেন, তারপর আরেকজন, তারপর আরেকজন। দুই ঘণ্টায় মোট ১৪ নারীর বিচারকাজ সম্পন্ন হয়, তাদের দোষী সাব্যস্ত করার পর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

ইরাকের বিচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গত সোমবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ১১ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরাকিদের রক্ত যারা ঝরিয়েছে তাদের হত্যা করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর প্রকাশ করে। তিন বছর ধরে ইরাকের এক তৃতীয়াংশ এলাকা দখলে রেখেছিল আইএস। গত ডিসেম্বরে এসব এলাকা সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকলে ইরাকের বিচার বিভাগীয় পরিষদ ওই সব এলাকা থেকে আটক হাজার হাজার যোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে বিচারের মুখোমুখি করে। ইরাকের সরকার এখনো আটক হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

তবে ইরাকি আদালতের খোঁজখবর রাখেন এমন দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার লোককে আটক করা হয়েছে। আর গত ডিসেম্বরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, কমপক্ষে ২০ হাজার লোকের বিরুদ্ধে আইএস সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মাসে অ্যাসোসিয়েট প্রেস এই মর্মে খবর প্রকাশ করে যে, ২০১৪ থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ হাজার লোককে আইএস বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক কিংবা জেলে দেয়া হয়েছে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ,২০এপ্রিল,১৮ইং)

SHARE