জুবায়ের চৌধুরী পার্থঃ
ভোলা: ভোলা জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আমিরুল হক রকেট চৌধুরীকে ১৮ বছর আগের এই দিনে হত্যা করা হয়েছে।
২০০২ সালের ২২ অক্টোবর বিএনপি সরকার ক্ষমতা থাকাকালিন যৌথ বাহিনীর অপারেশন ক্লিনহাটে গ্রফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
তার স্বজনদের দাবি, আসলে ক্লিনহাট অপারেশনের নামে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। রকেট চৌধুরী শুধু শ্রমিক নেতাই ছিলেন না, ছিলেন ভোলার সর্বস্তরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। তার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বিশ্বাস, ভালোবাসা ছিল বর্ণনাতীত। ফলে তার ডাকে সারা দিতেন হাজার হাজার শ্রমিক। নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও মানুষের উপকার করতেন তিনি।
তিনি কারো ক্ষতি করেছেন এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। শ্রমিকরা তার কথা শোনে। তার কথায় ওঠে বসে এটাই ছিল তার অপরাধ। তাকে হত্যা ছিল শ্রমিকদেরকেই নেতৃত্বশূন্য করার প্রয়াস।
তাকে হত্যা করার পরে সারা ভোলা জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের মাতম। শহর থেকে গ্রাম এমন কোন জায়গা ছিলনা, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ তার মরদেহ দেখতে আসেনি। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তার জানাজায় মানুষের ঢল নামে ভোলা নতুন বাজার চত্বরে।
তিনি মরে যাওয়ার পর সাধারণ শ্রমিকদের মুখে শুধু একটাই কথা ছিল, আমরা আমাদের একজন অভিভাবককে হারালাম, আমরা আমাদের শ্রমিক নেতাকে হারালাম। এখন কে রাখবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খবর, কে আমাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে।
রকেট চৌধুরীর চাচা বলেন, আজ রকেটের ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী, এখন পর্যন্ত ভোলায় তার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয় না বা কেউ করে না। তারা হয়ত ভুলে গেছে রকেট চৌধুরী নামে কোন এক সময় ভোলায় একজন শ্রমিক নেতা ছিল।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি অনুরোধ জানান। তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের এই পরিবারের একটু খোঁজ খবর নেন। রকেট চৌধুরীর বাবা রতন চৌধুরীও ছিলেন ভোলার অত্যন্ত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা। যাকে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসতেন।