মির্জাগঞ্জে ব্রীজ নয় যেন মরণ ফাঁদ

 

 

 

মোঃ সোহাগ হোসেন ঃ

ব্রীজ নয় দেখে মন হয় এক মরণ ফাঁদ। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে সুলতানাবাদ এলাকায় পাচকরি খালের উপর ব্রীজের এ বেহাল দশা। ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ। ব্রীজটির দক্ষিণ পারে মজিদবাড়িয়া কলেজ। আর এ ভাঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজে যাওয়া আসা করে। যেকোনো সময় ব্রীজটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজটির মাঝখানে গর্ত থাকায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রীজের দুই পাশের রেলিং গুলো নড়বড়ে এবং অধিকাংশ ভেঙে যাওয়ার ফলে হাজারো মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । সরেজমিনে জানাযায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে নির্মিত হয় এই ব্রিজটি। এই ব্রিজ দিয়ে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের মজিদবাড়িয়া গ্রাম, তারাবুনিয়া, সুলতানাবাদ করমজা বুনিয়া,গ্রামগুলোর প্রায় হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। অনেক পুরনো ব্রিজ হওয়ায় অনেক দিন থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে এর মধ্যে নতুন করে ব্রিজের মাঝখানে বড় আকারের একটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্রিজটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যেকোনো সময় ব্রীজটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। মজিদবাড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক ইকবাল বলেন, ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর মাঝখানে বড় আকারের গর্ত হয়েছে এতে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এলাকার মানুষজন, শিক্ষার্থীসহ যানবাহন চলাচল করছে। ব্রীজটি সংস্কার বা নতুন নির্মান না করলে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ব্রীজটি নতুন করে নির্মান করা একান্তই প্রয়োজন।মাহিন্দ্রা চালক তারেকুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে গাড়ি উঠলেই বুকটা থরথর করে কেঁপে ওঠে এতে যাত্রীদের মধ্যে ও ভীতির সৃষ্টি হয়। মজিদবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কিসলু মিয়া বলেন, আমি ব্রীজটি পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজটি সংস্কারের আশ্বস্ত করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশিদ বলেন, ব্রীজটি নতুন করে নির্মানের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগের পরে ব্রীজটির নির্মান কাজ শুরু করা হবে।

SHARE