মাসুদ রানা
ভোলা জেলা দক্ষিণ প্রতিনিধি।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মালেগো বাড়ির রুবেলের স্ত্রী লিজা নামের নববধূ কে ভিডিও ব্লাকমেইল করে একাধিক বার ধর্ষণ করে ৭ মাস অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে করেছেন। একই
বাড়ির নুরে আলমের ছেলে শরিফ।ভিকটিম লিজা বলেন,আমি যখন শরিফের বাসায় ফ্রিজ থেকে মাছ আনতে যাই তখন সে আমাকে কিছু করে ভিডিও ধারন করেছে। পরে সে ভিডিও দিয়ে আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি দেখাচ্ছে।যদি আমি তার কথামতো না চলি, তাহলে ভিডিও আমার স্বামী রুবেলকে দেখিয়ে দিবে। তারপর একে একে আমাকে সে ব্লাকমেইল করে ৭ বার ধর্ষণ করে। আমার গর্বে এখন শরীফের সাত মাসের সন্তান। এমনটাই অভিযোগ করেছেন।ভিকটিমের শশুর কাঞ্চনমাল বলেন, লিজার বেগমের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালী মহলের কারণে মামলাটি থানা করতে দেননি প্রভাবশালী চক্র। পরে আমরা সঠিক বিচার কোন জায়গায় না পেয়ে ভোলার আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি কে বোরহানউদ্দিন থানায় তদন্ত দিয়েছে।ঘটনাটি শুনে সাংবাদিক মহল যখন ঘটনাস্থলে যায়, ভিকটিমের বক্তব্যের শেষে এক পর্যায়ে শরীফের মা নুর নাহার বলেন, আমি এ সমস্ত মামলা-হামলা কে ভয় করি কম। আমাকে আপনারা মামলার ভয় দেখান। এরকম ধর্ষণ মামলা আমার কাছে কোনো ব্যাপার না।কে এই শরিফ ও তার মা নুরনাহার?ভোলার বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ইউনিয়নে হিন্দু বিপ্লবের সহযোগী মহানবীকে অবমাননা কারী ফটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার কৃত সেই শরিফ। তার মা নুরনাহার হলেন ওই এলাকার এসিড মারা একটি মামলার জেল খাটা আসামী।এলাকাবাসীর দাবী, জামিনে মুক্তি পেয়ে মা ও ছেলে এলাকায় অন্যায় মূলক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তারা কোন মামলাকে ভয় পাচ্ছে না। তাই এলাকাবাসী উক্ত ঘটনাগুলির সঠিক বিচার কামনা করেন।এ বিষয়ে কাচিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিজাম শিকদার বলেন,ঘটনাটির উপযুক্ত বিচার হোক এলাকাবাসীর দাবী।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেল বলেন, আদালতে যেহেতু মামলা হয়েছে তদন্ত অনুসারে আসামীকে আইনের আওতায় আনা হবে।