############
স্টাফ রিপোর্টার!
ভোলা দোকানের ভিটার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের দন্দ চলছে। এই দন্দকে কেন্দ্র করে মোঃ আবু জাহের এর দখলীয় জায়গার তালা মেরে বন্ধ থাকা দোকানে আরেকটি তালা লাগিয়েছে জমির দাবি করা প্রতিপক্ষ।
ভোলা সদর উপজেলার জংশন বাজারের পশ্চিম পাশে সুইচ গেইট নামক এলাকায় এঘটনা ঘটে।
দোকান ভিটা দখলদার মোঃ আবু জাহের জানায়, সুইচ গেইট বাজারে তার দখলকৃত ভিটার দৈঘ্য ২১ হাত ও প্রাস্ত ৮ হাত এর ভিটা ও দোকানটি জৈনক রতন সরদার নামক এক ব্যক্তি প্রায় ২৫/২৬ বছর পূর্বে সেখানে দোকানঘর তোলেন। দোকান ঘর তোলার পর তিনি একটি সমিতিকে অফিস হিসাবে ভাড়া দেন। তিনি এই ভাবে দোকান ও ভিটা প্রায় ১০/১২ বছর ভোগ করার পর ২০০৭ সালে অর্থাৎ প্রায় ১৩ বছর পূর্বে ঐ দোকান ও ভিটা বিক্রয়ের স্বীধ্যান্ত নিলে মোঃ আবু জাহের স্টাম্প চুক্তির মাধ্যমে ভিটা ও দোকানটির দখল ক্রয় করেন। আবু জাহের ভিটা ও দোকানটি ক্রয় করার পর সেই ক্রয়কৃত ভিটার দোকানটি স্থানীয় বাহার খলিফা এর কাছে ভাড়া দেন। ভাড়া নেওয়ার পর বাহার খলিফা দোকানটি নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসলেও গত প্রায় তিন বছর ধরে কোন ভাড়া পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করেন। মোঃ জাহের খলিফা এর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার দোকান ঘরটি রক্ষক থেকে ভক্ষক হয়ে ভাড়াটিয়া মোঃ বাহার খলিফা গোপনে দোকান ভিটার পার্শ্ববর্তী জৈনক মোঃ আনোয়ারদের কাছ থেকে ঐ ভিটা ও দোকানের সম্পতি দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করে নেন। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হয়ে গেলে তোপের মূখে বাহার খলিফা দোকানের সম্পতির দলিল ফেরত দেন। এর পর ভাড়াটিয়া মোঃ বাহার খলিফা ১০/১২ দিন পূর্বে অন্যত্র দোকান ভাড়া নিয়ে চলে যায়। ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ার পর দোকানটি কয়েক ১০/১২ দিন খালি থাকায় মোঃ আবু জাহের দোকানটি তালা মেরে রাখে। ৩/৪ দিন পূর্বে দোকান ভিটার দাবিদার মোঃ আক্তার হোসেন এসে বন্ধ দোকানের তালার উপর আরেকটি তালা মেরে রাখেন।
স্থানীয়রা জানায় মোঃ আবু জাহের রতন সরদার এর কাছ থেকে দোকান ভিটা ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে দখলদার রয়েছে। একসময় স্থানীয় সুলতান আহমেদ মিয়ার এর স্ত্রী মোসাম্মদ আনোয়ারা বেগম ঐ দোকান ভিটার পার্শ্বে কিছু জমি ছিলো। সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার পাশে যার জমি থাকে মূখোমূখি (মুখসা মুখসি) হিসাবে রাস্তার পার্শ্বটা তিনিই ভোগ করেন। কিন্তু সুলতান আহম্মেদ মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মদ আনোয়ারা বেগম জমিটির মালিক থাকা কালিন সময়ে রতন সরদার দোকান ঘর তৈরী করে ভিটা দখল নিয়েছেন। তাতে সুলতান মিয়ার স্ত্রী বা তাদের পক্ষের কেউ কোন প্রকার আপত্তি বা বাধাঁ সৃষ্টি করেন নাই। পরবর্তিতে দোকান ভিটার দখলদার রতন সরদার এর কাছ থেকে মোঃ আবু জাহেরের কাছে স্টাম্প চুক্তির মাধ্যমে মালিকানা রদবদল হলেও তখনও সুলতান আহমেদ মিয়ার স্ত্রী বা তাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের আপত্তি প্রকাশ করেনাই। মোঃ আবু জাহের সম্পতিটি ক্রয়ের ১৩ বছর পর সুলতান মিয়ার স্ত্রী পার্শ্ববর্তী সেই জমিটি অানোয়ারদের কাছে বিক্রয় করে দেয়। তারপর থেকে তারা দন্দকৃত দোকান ভিটার সেই পার্শ্বের আর কোন জমি দাবি করে নাই। কিন্তু ২৫/২৬ বছর পর তাদের ছেলে মোঃ আকতার হোসেন সেই দোকান ভিটার মালিকানা দাবী করছেন।
ভাড়াটিয়া দোকানদার বাহার খলিফা জানান, তিনি দোকান ঘর মালিক মোঃ আবু জাহের থেকে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ৬/৭ বছর ব্যাবসা করেছেন। পরবর্তিতে ঘরটি নিয়ে দন্দ হওয়ায় তিনি ১০/ ১২ দিন পূর্বে দোকান ঘর ছেড়ে দিয়েছেন।
দোকান ভিটার দাবীদার মোঃ আকতার হোসেন জানায়, দোকান ভিটার সম্পতিটি তাদের।