মোঃ আরিয়ান আরিফ।।
বাঁধ ভাঙার পর গত চার দিন ধরে পানিতে ভাসছি, ঠিকমত রান্নাও হচ্ছে না, খেতেও পারছিনা। আমাদের ত্রাণের দরকার নেই’।টেকসই বাঁধ হলেই হবে। তাহলে আমরা এলাকায় বসবাস করতে পারবো।কথাগুলো বলছিলেন ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদসফিল্লা গ্রামের গৃহবধূ তাসনুর বেগম।
তিনি বলেন, পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে পানির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।জোয়ার বেশি হলে উঁচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।পানিবন্দি রোকেয়া ও মনোয়ারা বলেন, ঘরে রান্না নেই, জোয়ারের পানিতে সব নিয়া গেছে।
পরিবার-পরিজন নিয়া কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। একটা বেড়িবাঁধ হলে আমাদের এভাবে কষ্টে থাকতে হবে না। বন্যা দুর্গত এলাকার তাসনুর, মনোয়ারা ও রোকেয়া বেগমের মত অনেকের দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণ।তারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ হলেই জোয়ারের পানির হাত থেকে রক্ষা পাবে মুরাসসফিউল্লা, রামদাসপুর কান্দি, সোনাডগি, পূর্ব চর ইলিশা ও সাজিকান্দি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। চার দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের। কিছুতেই দুর্ভোগ কাটছে না বন্যা দুর্গতদের।ভাঙা বাঁধের মেরামত কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই পানিতে ভাসছে তাদের ঘরবাড়ি। অনেকে ঘরভিটা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে। বেশিরভাগ মানুষের ঘরে চুলো জ্বলছে না। এদিকে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ইলিশা ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধ ভাঙা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটছে ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের মানুষের। পানির মধ্যেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ইলিশা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ২০ টন চাল ও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু জোয়ারের পানি বার বার আসা যাওয়ার কারণে কাজ কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি আগামী দুই/এক দিনের মধ্যে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হবে।এদিকে টেকসই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।