মনপুরা(ভোলা)প্রতিনিধি ।।
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্ল্যাহ কাজল এক তালাকপ্রাপ্তা নারীর তালাকের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বামী র্কতৃক স্ত্রী কে দেয়া বিগত ২৯/১০/১৭ ইং তারিখ তালাকের তিন বছর পরে ও গ্রাম্য আদালতের শালিস বৈঠকের মাধ্যমে স্ত্রীর ভরন পোষনের জন্য ধার্যকৃত টাকা পাননি তালাকপ্রাপ্তা নারী বিবি খাদিজা ওরপে ঝর্না বেগম।
জানা যায়, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের অহিদ মাঝীর মেয়ের সাথে একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিনের বিবাহ হয় ১৩/১/১৩ ইং সালে। বিবাহের ৪ বছর পরে বিবি খাদিজা ওরপে ঝর্নার সাথে ২৯/৭/২০১৭ ইং সালে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
ভুক্তভোগী খাদিজা জানান, বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। প্রায় দুই বছর পরে খাদিজা ও শাহাবুদ্দিনের ঘরে একটি পুত্র সন্তান হয়।
কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী ও স্ত্রী স্বামীর মাঝে ছোট খাটো ব্যাপার নিয়ে নিয়েই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী খাদিজা তখন বাবার বাড়ি চলে যায়।
এর কিছু দিন পর, নিকাহ রেজিস্টার ও কাজীর মাধ্যমে ২৯/১০/২০১৭ তারিখ নিজ ইচ্ছায় স্ত্রী খাদিজাকে তালাক প্রদান করেন স্বামী সাহাবুদ্দিন।
গ্রাম্য শালিসে উভয় পক্ষ ২৫/১২/২০১৬ ইং সালে, একই গ্রামের সত্তার মাঝির বাড়িতে বসেন। উক্ত শালিসে দেনমোহর বাবদ ৭০ হাজার টাকা এবং বাকী মাল সামানার জন্য ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৮০ হাজার টাকা ধার্য্য করেন।
উক্ত শালিসে শালিসী হিসেবে স্থানীয় গন্যমান্যদের মধ্যে আলমগীর মোল্লা, মহিউদ্দিন, শরীফ হোসেন ও মাকসুদ।
ভূক্তভোগী খাদিজা ওরপে ঝর্না জানান, তার দেনমোহরের টাকা অলি উল্ল্যাহ কাজলের কাছে। গ্রাম্য শালিসের পর তার সাবেক স্বামী শাহাবুদ্দিন তার কাছে দিয়ে আসেন। খাদিজা তার দেনমোহরের টাকা অলি উল্ল্যাহ কাজলের কাছে চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্ল্যাহ কাজল এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।