###########
বিপ্লব রায়
ভোলায় রাজাপুরে একদল ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন যাবৎ শ্যামপুর ৯নং ওয়ার্ডে মসজিদের ও আবুল কালাম এর জমিজোর জবরদস্তি করে একদল ভূমিদস্যু ভোগ দখল করার চেষ্টা করে আসছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম ওয়ারিশ সূত্রে নিজাম উদ্দিন দেওয়ান, মিন্টু দেওয়ান, আবু তাহের, শফিকুল ইসলাম দেওয়ান ফারুক ইসলাম আকন্দ, থেকে জমি পাওনা হলেও তারা অত্যন্ত দুষ্ট ,দুর্দান্ত ,পরবিত্ত লোভী, সন্ত্রাসী আইন-কানুন অবাধ্য ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক হওয়ার কারণে আবুল কালামকে তার ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য চেষ্টা করলে একাধিক সালিশের পড়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়। অপরদিকে ওই দুষ্ট দুর্দান্ত লোক গুলোর উত্তরাধিকারী গন মসজিদকে জমি দান করে গেলে বর্তমানে জমির দাম বৃদ্ধির কারণে তারা মসজিদকে ওই জমি ভোগ করা থেকে বঞ্চিত করার নানা পায়তারা করে। মসজিদ ও আবুল কালাম এর জমি ভূমিদস্যু গ্রুপ জোর জবরদস্তি করে দখল করে ঘর নির্মাণের জন্য চেষ্টা করলে মসজিদ কমিটি ও আবুল কালাম মিলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধান মতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে। তারপরেও তারা মসজিদ কমিটি ও আবুল কালামকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
আবুল কালাম শেখ জানান, আমরা আমাদের জমি ভোগ দখলে থাকার পরেও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কারণে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা এই সমস্ত ভূমিদস্যুদের থেকে পরিত্রান চাই
স্থানীয় হারুন ফকির জানায়, নিজাম উদ্দিন দেওয়ান, মিন্টু দেওয়ান,তার বংশধরদের প্রভাবে স্থানীয় অসহায় দরিদ্র জনগণ নিপীড়নের শিকার হয়। তারা ক্ষমতার বলে মসজিদের জমি দখল করার চেষ্টা করে।
স্থানীয় একাধিক লোক মসজিদের জমি ভূমিদস্যুদের থেকে উদ্ধার করে মসজিদকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে।
মিন্টু দেওয়ান এর বংশধর নাম না জানা এক মহিলা বলেন,আমরা আমাদের জমিতে ঘর উত্তোলন করেছিল মসজিদের জমি ও আবুল কালামের জমি দখল করিনি।
মিন্টু দেওয়ান ও নিজাম উদ্দিন দেওয়ান এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কে পাওয়া যায়নি।