মনজু ইসলাম ঃ
ভোলার চরফ্যাশনে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সেরেস্তাদার কমল চন্দ্র দে উপর অতর্কিত হামলা ঘটনায় আজ বুধবার বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন ভোলা শাখার পক্ষ থেকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করা হয় । উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,জেলা নাজির জনাব মোঃ আমির হোসেন,এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব মোঃ আক্রাম আলী, সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
গত ১৪ জুলাই মোঙ্গলবার দুপুর ২টা চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সেরেস্তাদার কমল দেব, নাজির জনাব আবুল কালাম আজাদ ও অফিস সহায়ক তাপস চন্দ্র দে উপর এ্যাডঃ হারুনুর রশিদ এ্যাডঃসিদ্দিকুর রহমান এ্যাডঃলিটন ও তাদের মহরি রিপন,হাবিবুর রহমান,ও মোঃ ইউসুফ এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
সুত্রে জানা যায় অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদের মোহরী কমলের কাছে মৌখিক ভাবে একটি হত্যার মাললার মূল নথি চায়, নিয়ম বর্হিভুত হওয়ায় আদালতের কর্মচারীরা অপারগতা প্রকাশ করেন, পরক্ষণেই হারুনুর রশিদ এসে আদালতের কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, একপর্যায়ে গায়ে হাত তোলে, বিচারক ও সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে সেদিন বিকাল ৪টায় ফয়সালার সিদ্ধান্ত হলে আদালতের সামনে গেলে এডভোকেট হারুনুর রশিদ, এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, এডভোকেট লিটনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে মোহরী হাচান মিঝি’ র নেতৃত্বে মোহরী রিপন, হাবিবুর রহমান মঞ্জু, মোঃ ইউসুফ উল্লেখিত আদালতের ৩ জন কর্মচারীকে লাঠি দিয়ে প্রকাশ্যে আদালতের সামনে জনৈক বাসুর চায়ের দোকানের সামনে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে, হাচান মিঝি লাঠি দিয়ে জনাব কমল দেব এর মাথায় আঘাত করে হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তার চোখের নিচে এবং হাতে লাগে, অন্যান্যরা আবুল কালাম আজাদ ও তাপস চন্দ্র দে কে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এ সময় বক্তরা বলেন এই ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি এবিষয়ে কোনো মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ তোলেন এবং তারা আরো বলেন আমরা এই অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও তাদের দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছি ।