মনপুরায় ফ্লিমি কায়দায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে ধরে নিয়ে দম্পত্তিকে নির্যাতন

 

 

 

আমজাদ হোসেন#
ভোলার মনপুরায় ফ্লিমি কায়দায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে চৌকিদার পাঠিয়ে ধরে নিয়ে গনি হাওলাদার নামের এক দম্পত্তিকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে ওলি উল্ল্যাহ কাজল নামের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার দম্পতি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে মনপুরা উপজেলার দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার গনি হাওলাদার ও তার স্ত্রী জানায়, একই এলাকার পাশের বাড়ির
হাসেম মোল্লাদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ চলছিলো। কয়েকদিন পূর্বে দন্দে হুমকি ধমকির ঘটনায় গনি হাওলাদার হাসেম মোল্লাদের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। সাধারন ডায়েরীর পরিপেক্ষিতে ঘটনার দিন মনপুরা থানার এসআই মোঃ খবির সাধারন ডায়েরীর বিষয়টি তদন্তে গেলে ঘটনার সত্যাতা পেয়ে অভিযুক্ত সিরাজ মোল্লা নামের একজন কে আটক করেন, পরে আটককৃত ব্যক্তিকে বাদী পক্ষের অনুরোধে এবং বিষয়টি স্থানীয় মিমাংসার স্বার্থে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের জিম্বায় তাকে রেখে যায় পুলিশ। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এবং তাদের সম্মতিক্রমে গতকাল শনিবার স্থানীয় শালিশ বিচারের সীধ্যান্ত নিয়ে উভয়কে তারিখ দেন। পুলিশ থেকে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্ত পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওলি উল্ল্যাহ কাজলের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর ঐ দিন দুপুরে গনি হাওলাদার দম্পত্তিকে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) পাঠিয়ে ফ্লিমি কায়দায় নিজে বাড়িতে ধরে আনেন চেয়ারম্যানের অলিউল্লাহ কাজল। চেয়ারম্যান তাদেরকে বাড়ির উঠানে লাঠিসোটা দিয়ে মধ্যউযোগীয় কায়দায় নির্মম ভাবে নিযার্তন করেন। নির্যাতনে ওই দম্পত্তি অজ্ঞান হয়ে পরলে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে তোপের মূখে রেখে আহত ঐ দম্পতিকে মূমূর্ষ অবস্থায় প্রথমে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থার বেগতিক দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার গনি হাওলাদার ও তার স্ত্রী ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভূক্তভোগীর চাচাতো ভাই কবির বেপারী জানায়, চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজল এলাকায় হাজারো অপকর্ম করে বেরায়। নারী নির্যাতন, চাঁদা বাজি, সন্ত্রাসীসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে এই চেয়ারম্যান করেনা। এই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মূখ খুলতে চায়না। তবে আগামি নির্বাচনে এলাকার জনগন নিয়ে এই চেয়ারম্যানকে প্রতিহত করবেন বলেও তিনি জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অলিউল্লাহ কাজল চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনাটাই অস্বীকার করে বলেন এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনাই।

SHARE