ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সারা দেশের রাস্তার অবস্থা খারাপ। দেশের বদনামও এ জন্যই। রাস্তাগুলো নষ্ট হওয়ায় মানুষের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন। সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী সড়ক উন্নত করতে উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, অধিকাংশ রাস্তা একই মাপের হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কন্টেইনার আনতে অসুবিধায় পড়েন। সারা দেশেই এটা একটা বড় সমস্যা।
এ কারণে রাস্তাগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। এজন্য রাস্তার গ্রেডিং আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। গাড়ি চলাচলে যাতে দেশে একটি সিস্টেম প্রবর্তিত হয় সেজন্য রাস্তায় বড় গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনারও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী ই-কমার্স ব্যবসাকে আইটিএস খাতের অন্তর্ভুক্ত করারও ঘোষণা দেন। পাশাপাশি পণ্য সরাসরি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন। একই সঙ্গে বেকারি ও কৃষিজাত পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন তিনি। তবে পোল্ট্রিতে কোনো প্রণোদনা দেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছরে বাজেটে বড় কিছু করা যাবে না। আগে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা ভালোভাবে করার ওপর জোর দেয়া হবে।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে দেশে একটি দীর্ঘস্থায়ী সরকার থাকলে তারা অনেক কিছু পারে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, জাপানে একটি দল ৪৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরকে পাল্টে দিয়েছেন। এটা আপনাদের বিবেচনার জন্য উত্থাপন করলাম। এ সময় তিনি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহাথির মোহাম্মদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে করসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি করপোরেট কর, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি নিশ্চিত করা, ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমানো, এফবিসিসিআইয়ের ভবন নির্মাণে সরকারের সহায়তাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে করেন।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এ বছর রপ্তানি বাড়াতে উৎসাহ দেয়া হবে। নতুন নতুন পণ্যে বন্ডের লাইসেন্স দেয়া হবে। বন্ড কার্যালয়ে হয়রানি ও ভোগান্তি দূর করার উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বিভিন্ন পণ্যে এখন সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা থাকবে বলে জানান।