সোহান সোহাগ মনপুরা প্রতিনিধিঃ
আবারো গর্জন শুরু করেছে মেঘনা। ভাঙনের মুখে পড়েছে ভোলার মনপুরা দ্বীপ উপজেলা। আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে মনপুরা বিস্তীর্ণ ফসলি জমি হারা ও বিটে হারা অসহয় বাসিন্দারা। কখন জানি নিজের বসত ভিটা বিলিন হয়ে যায় মেঘনার কবলে।
এভাবে প্রতি বছরই মেঘনায় বিলিন হচ্ছে মনপুরার মানুষের বসত বাড়ি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বিস্তীর্ণ জমি। ছুটে আসে সরকারি কর্মকর্তা আর জনপ্রতিনিধি। আশ্বাস দেওয়া হয় ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সামান্য জিও ব্যাগ ফেলা ছাড়া স্থায়ী বাঁধের তেমন কোন উদ্যোগ নেই ভাঙনরোধে।
বর্ষার শুরুতে এবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপ উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়ন সোনার চর এলাকা, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টার হাট এলাকা, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু এলাকা জুঁড়ে।
এইবছরও আম্ফানে মনপুরা ইউনিয়ন ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘর বিলিন হয়েছে। ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে এসব বাড়ির লোকজন। ছুটে এসেছিলেন জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা কিন্তু ভাঙনরোধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এবছর বর্ষার শুরুতেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর প্রভাবে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সূর্যমুখী বেড়িবাঁধ এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলিন হয়ে গেছে সূর্যমুখী বাজার। ক্ষতির মুখে পড়েছে দ্বীপ উপজেলা বাসি। ইতিমধ্যে মনপুরা সদর থেকে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার পথে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপির) তাৎক্ষনিক হস্তক্ষেপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের পদক্ষেন নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে এর প্রভাবে মনপুরার অনেক বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়ে গেছে।
কিন্ত স্থানীয়দের দাবি, তারা চায় স্থায়ী বাঁধ। যা তাদের ভিটে-বাড়ি’সহ বিস্তীর্ণ এলাকা রক্ষা করতে পারবে। বছর বছর নদী ভাঙন শুরু হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ চায় না। তারা চায় স্থায়ী সমাধান।
মনপুরা উপজেলার বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছরই ভাঙছে মেঘনার বুকে গড়ে ওঠা এই দ্বীপ, ছোট হচ্ছে মনপুরার মানচিত্র। বিলীন হয়েছে শত শত পরিবারের বসত ভিটা।
এইদিকে স্থানীয় অসহায় লোকজন বলেন, আমাদের আস্থা রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর উপর। কারণ তিনি বিগত বছরগুলোতে মনপুরার উত্তর মাথায় ব্লক ফেলার কারনে কিছুটা হলেও ভাঙ্গন কমেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সাথে সমন্বয় করে জিও ব্যাগ ফেলতে সহযোগিতা করি। তিনি অবশ্যই এই এলাকার ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
মনপুরা উপজেলার মেঘনার বুকে বিলিন হয়ে গেছে ভিটে মাটি ও ফসলি জমি শূন্য হয়ে বসবাস করে অনেকে মেঘনার পাড়ে। তারা বলেন, আমাদের আর ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন নেই। এখন আমাদের একটাই দাবি, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি) এর মাধ্যমে যাতে মনপুরা উপজেলায় স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ ও ব্লক দিয়ে এই মেঘনার কবল থেকে মনপুরা বাসিকে রক্ষা করতে পারে সেই ব্যবস্থা যাতে তারা করেন