লালমোহন থেকে তপতী সরকারঃ
চারদিকে বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। থেমে বাংলাদেশও। ৮ মার্চ ২০২০ প্রথম বাংলাদেশে ৩ জন করোনা রোগী আক্রান্ত হয়। এরপর আার হাজারো চেষ্টা করেও কমানো যায় নি সংক্রমণ। এক সপ্তাহ অপেক্ষার পর ১৬ মার্চ ২০২০ হঠাৎ সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল কোচিং সেন্টার ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ। অনেকেরই ধারণা ছিল সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো ০১ এপ্রিল ২০২০ থেকেই আবার ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া শুরু করবে। কিন্তু তা আর হল না। ধাপে ধাপেই বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। বন্ধ হয়ে আছে এইচ এস সি পরীক্ষাও। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে আছে ২০২০ এর সমাপনি ও জেএসসি বোর্ড পরীক্ষাগুলোও।
এহেন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি নেই কোন আগ্রহ। তাদের সময় কাটে লুডু খেলা, ক্যারাম বোর্ড খেলা, এক্কা দোক্কা খেলা, লুকোচুরি খেলা দিয়ে। আর তাদের অবসর ( রাত) কাটে টিভি দেখে। শিক্ষার্থীদের তাদের মা ও বাবা পড়াশোনার কথা বললে তাদের উত্তর ” স্কুল বন্ধ, আবার পড়ালেখা কিসের?” এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিভাবকরাও হতভম্ব। দিন দিন শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার পথ পড়াশোনার প্রতি। ফলে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়।
যদিও সরকারের উদ্যোগে নেয়া হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস। কিন্তু নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাম গঞ্জের শিক্ষার্থীর। শহর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পেলেও তারা ভালভাবে বুঝে উঠতে পারছেনা অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস সমুহ। ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
কিভাবে এগুবে দেশ? শিক্ষাই যেখানে স্তম্ভিত, জাতির মেরুদণ্ড যেখানে ভঙ্গুর অবস্থায় সেখানে আমরা কিই বা করতে পারি?
সরকারও যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মত কোন পথ খঁজে পায়না সেখানে আমরা অভিভাবকরা কিভাবে আমাদের শিশুদের পথ দেখাব? জানিনা এর শেষ কবে এবং কিভাবে? কিভাবে এর থেকে বিশ্ব তথা বাংলাদেশ মুক্তি পাবে?