ভোলায় করোনায় আরো ১ জনের মৃত্যু

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

ভোলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আরো একজনের নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তার নাম খোরশেদ আলম (৮২)। গত ২৪ জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে লঞ্চে তার মৃত্যু হয়। তিনি ভোলা শহরের কালি বাড়ি রোডের বাসিন্দা ছিলেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৪ জনে। অপরদিকে নতুন করে আরো ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৬ জনে। এদের মধ্যে ১০০ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ্য হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী এতথ্য নিশ্চিত করেন।

নতুন আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজনসহ ৮ জন ভোলা সদর উপজেলার। এছাড়া বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার দুইজন করে রয়েছে।

ভোলায় মোট আক্রান্ত ২৮৬ জনের মধ্যে জেলা জজ ও তার স্ত্রী, চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ৯ জন চিকিৎসক, ২২ স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১১ সদস্য, ৮ জন কোস্টগার্ড সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা ১৩ জন ও ১৫ জন শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্যালয়ের এক জন, সিভিল সার্জন কর্যালয়ে দুই জন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জন ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালকসহ দুই জন রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় করোনা আক্রান্ত ২৮৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০০ জন। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ১৩৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৪২ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ২৩ জনের মধ্যে সুস্থ ১৭ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৪ জন। লালমোহনে আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে সুস্থ ৮ জন। চরফ্যাশনে আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে সুস্থ ১৯, মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৯ এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন ভোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আছে। বাকিরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে উপসর্গ নিয়ে আরো অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সিভির সার্জন কার্যালয় সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত ভোলা থেকে ৩ হাজার ৬৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা ও বরিশাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট এসেছে ৩ হাজার ২২২ জনের। এছাড়া এখনও ৪২৫ জনের নমুনার রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে।

SHARE